শিক্ষাঙ্গন

অন্ধত্ব দমাতে পারেনি তাকে, ঢাবির মেধা তালিকায় রাফি

মেধার কাছে শারীরিক অক্ষমতা যে কিছুই নয় তা প্রমাণ করেছেন সাইফুদ্দিন রাফি। অন্ধত্বকে জয় করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে পটিয়ার এই ছাত্র। চোখের দৃষ্টি না থাকা সত্ত্বেও মনের দৃষ্টি দিয়ে রাফি ঢাবিতে ভর্তির মেধা তালিকায় নির্বাচিত হয়েছেন।

রাফি এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ হাজার প্রতিযোগী শিক্ষাথীর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত হয়েছে। ২০১৭ সালে ইউনিয়ন কৃষি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০১৯ সালে পটিয়া সরকারি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়। তার বাবা মরহুম আজহার উদ্দিন পটিয়া ইউনিয়ন কৃষি উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজী বিভাগের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তার মা নাজনীন আক্তার একজন গৃহিণী। রাফির প্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার জঈলখাইন ইউনিয়নের উজিপুর গ্রামে।

সাইফুদ্দিন রাফি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে ভবিষ্যতে ইংরেজীতে অধ্যাপনা করতে চান।

২ বছর পূর্বে তার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ৩ বছর বয়সে দাদীর জন্য ঘরের কার্নিশ থেকে চুনের পটলা নিতে গিয়ে হাত ফসকে মাটিতে পড়ে যায়। এসময় তার চোখে চুন ছিটকে তার দুই চোখ নষ্ট হয়ে য়ায়।

রাফি ছাড়াও তার বড় দুই বোন রয়েছে। বড় বোন একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, মেঝো বোন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগে লেখাপড়া করছেন। বর্তমানে তার বড় বোনের মাসিক বেতনের টাকায় তাদের পুরো সংসার চলে।

রাফির স্বপ্ন নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শ্রুতি লিখনের মধ্যে অন্যজনের সাহায্য নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। তার পিতার মতো সেও ইংরেজীতে মাস্টার্স পাশ করে ইংরেজীর অধ্যাপক হতে চান। মেধাবী ছাত্র রাফি ও তার পরিবার সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button