আজ ডুয়েটের জন্মদিন
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) ১৭ বছরে পা রাখল আজ। প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত উচ্চশিক্ষার সম্প্রসারণ গুণগত মান বৃদ্ধি, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশিক্ষিত, দক্ষ ও উন্নত নৈতিকতা সম্পূর্ণ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর পথচলা শুরু করে ডুয়েট।
২০০২ সালের ১০ মার্চ তৎকালীন বিআইটিসমূহকে রূপান্তরিত করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেশের প্রত্যেক বিভাগে ইতোপূর্বে স্থাপিত বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ১৯৮০ সালের অর্ডিনেন্স পরিবর্তন করে বিভাগীয় নামে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী বিআইটি করা হয়। পুনরায় ২০০২ সালে বিআইটিসমূহ পরিবর্তন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সময় সকল বিভাগীয় নাম বহাল রেখে যথাক্রমে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশববিদ্যালয় করা হয়। কিন্তু ঢাকার ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটিয়ে নাম করণ করা হয় গাজীপুর প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশববিদ্যালয়।
হঠাৎ করে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের একমাত্র উচ্চশিক্ষার সরকারি এই শিক্ষালয়ের নাম পরিবর্তন বিশেষত ঢাকা নামটি বাদ দিয়ে মূলত এই প্রতিষ্ঠানটিকে অন্যসব প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা নামটি না থাকায় এর অতীত ইতিহাস হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
বিশেষত ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বিআইটি ঢাকার সঙ্গে গাজীপুর প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ বেমানান হওয়ায় ২০০২ সালের শেষ দিকে বর্তমান ডুয়েট এর নামকরণ ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলনের প্লাটফর্মের নাম হয় ডুয়েট বাস্তবায়ন পরিষদ। সব রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন দলমত নির্বিশেষে একটি আন্দোলন একটি দাবি নামকরণ পরিবর্তন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সংশোধন জাতীয় সংসদে আনার দাবিতে এর ছাত্র শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলে মিলে একটি অস্তিত্বের আন্দোলন শুরু করে।
একটি চেইন অব কমান্ডের আওতায় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অসম দাবি আদায়ের সংগ্রাম। কেননা দাবিটির সমর্থনে জাতীয় সংসদের সংশোধনী প্রস্তাব আনতে হবে। পরবর্তীতে জাতীয় সংসদে সংশোধনী প্রস্তাবে ভোটে ডুয়েট নামকরণ সংশোধনীটি জয়লাভ করে। সেদিন থেকে ১ সেপ্টেম্বর ডুয়েট ডে হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।