আবরার হত্যায় আটক ২, মিলছে না সিসি টিভি ফুটেজ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) হল থেকে রাতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার লাশ শের-ই বাংলা হলের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়। এই হলেই থাকতেন আবরার। এ ঘটনায় ওই হলের দুই শিক্ষার্থী রাসেল ও ফুয়াদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (০৭ অক্টোবর) সকালে তাদের আটক করা হয়। আটক রাসেল ও ফুয়াদ বুয়েটের শিক্ষার্থী।
এদিকে আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় সিসি টিভি ফুটেজ দেখার দাবি তুলে শিক্ষার্থীরা। তবে মিলছে না সিসি টিভি ফুটেজ। এর প্রতিবাদে প্রভোস্টের অফিস ঘেরাও করে আন্দোলন করছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
নিহত ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন৷ তিনি শের-ই বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে।
আবরারের মামাতো ভাই জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আবরারের সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা ছিল না। সে কুষ্টিয়ায় গিয়েছিল। গতকাল বিকাল পাঁচটায় কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় এসে হলে উঠে। তারপর মধ্যরাতে খবর পাই ভাই মারা গেছে।’
পুলিশ ও সহপাঠী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে হলের কক্ষে ছিলেন আবরার। হল থেকে তাকে রাতে কোনো এক সময় বাইরে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর কে বা কারা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
সহপাঠীরা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবরার সক্রিয় ছিলেন। লেখালেখি করতেন। এ কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে তারা।
বুয়েটের চিকিৎসক মাসুক এলাহী জানান, অন্য ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরে বাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখি। তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
মাসুক এলাহী আরও জানান, রাত্রিকালীন ডিউটিতে ছিলেন তিনি। খবর পেয়ে শেরে বাংলা হলে গিয়ে ফাহাদকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে নিজে পরীক্ষা করে দেখেন, সে মারা গেছে। পরে, বুয়েট কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।
রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই বাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন জানান, বুয়েট শিক্ষার্থী ফাহাদের মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাসেল ও ফুয়াদকে আটক করা হয়েছে। তারা দু’জনই বুয়েট শিক্ষার্থী। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
এর আগে ওসি সোহরাব হোসেন বলেন, আমরা ধারণা করছি রাত দুইটা থেকে আড়াইটার দিকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি ভোরে। তার পায়ের উপরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।