শিক্ষাঙ্গন

ইবিতে জেল হত্যা দিবস পালিত

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৪৫তম জেল হত্যা দিবস পালিত হয়েছে। রবিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর নেতৃত্বে শোক র‌্যালি বের হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সেলিম তোহা ও রেজিস্ট্রার (ভার.) এস. এম আব্দুল লতিফ এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রাধ্যক্ষ, সকল বিভাগের সভাপতি, প্রক্টর, ছাত্র-উপদেষ্টা ও অফিস প্রধানসহ সকল পর্যায়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। শোক র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ৪৫তম জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- উপ-উপাচার্য ড. মো. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. সেলিম তোহা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রেজিস্ট্রার (ভার.) এসএম আব্দুল লতিফ। জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্র-উপদেষ্টা ও প্রক্টর (অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ।

প্রশাসনিক ভবনের সামনের চত্বরে শোক র‌্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ এবং বিপক্ষ উভয় শক্তিকেই চিনতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা তৈরির কারিগর হওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে সোনার মানুষ হিসেবে তোমাদের গড়ে উঠতে হবে। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের যারা বিরোধী শক্তি তাদের ঘৃণা করতে হবে।’ এছাড়া এ সময় জাতীয় চার নেতার উদ্দেশে গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান বলেন, পাকিস্তান ভাঙার প্রতিশোধ নিতে, দেশকে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের আবর্তে নিক্ষেপ করতে এবং একটি মিনি পাকিস্তান সৃষ্টির লক্ষ্যে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতাকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়।

অপর বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সেলিম তোহা বলেন, আমাদেরকে একাত্তরের পরাজিত ঘাতক চক্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভার.) এস এম আব্দুল লতিফ। সভাপতিত্ব করেন জেল হত্যা দিবস ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটি ২০১৯’র আহ্বায়ক ছাত্র-উপদেষ্টা ও প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ। আলোচনা সভা শেষে চার জাতীয় নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি সঞ্চালনা করেন তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের উপ-পরিচালক মো. রাজিবুল ইসলাম।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button