প্রাথমিকে ভর্তির বয়স ৫ এর পরিবর্তে ৪
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ বছর বয়স নির্ধারিত থাকলেও তা চার বছর করা হচ্ছে। কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠদান আনন্দপূর্ণ করে তুলতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২২ সালের মধ্যে ‘শিশু শ্রেণি’ নামে এ স্তরের শিক্ষাকে ধাপে ধাপে দুই বছর মেয়াদে উন্নীত করা হবে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম আল হোসেনের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ডিপিই এর মহাপরিচালক।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রাক-প্রাথমিক স্তরের ক্লাসরুম উপযোগী করে তুলতে সারাদেশে নতুন করে আরও ৩০ হাজার ‘ডেডিকেটেড ক্লাসরুম’ বা ‘শিশু উপযোগী শ্রেণিকক্ষ’ নির্মাণ করা হবে।
সূত্র জানায়, প্রাক-প্রাথমিকের ২৬ হাজার বিদ্যালয়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া প্রাক শিক্ষক বদলি নীতিমালায় কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। শিশুদের পরিচর্যার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে ‘কেয়ার গিভার’ (পরিচর্যাকারী) নিয়োগ দেওয়া হবে। ২০২২ সাল থেকে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
দাতা সংস্থা ইউনিসেফের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় মন্ত্রণালয়, এনসিটিবিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সংস্থার প্রতিনিধি ও ইসিডির (আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট) কর্মকর্তারা তাদের সুনির্দিষ্ট মতামত ও নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। এসব চ্যালেঞ্জ ও সমস্যাগুলো একত্রিত করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা আকর্ষণীয় করে তুলতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তার আলোকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা স্তরকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এক বছরের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু রয়েছে। শিক্ষানীতি ২০১০-এ দুই বছরের প্রাক-প্রাথমিকের কথা বলা আছে। সে কারণে এর সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।