আটিয়া কলার যত গুণ
সাদা আমাশয়, রক্ত আমাশয় ও পাতলা পায়খানার মহা ওষুধ হিসেবে আগের দিনে গ্রামের আটিয়া কলা খাওয়ার পরামর্শ দিতে অভিজ্ঞরা। আবার অনেকেই আটিয়া কলা ফালি করে করে কেটে পানিতে ভিজে সকাল বেলা খালি পেটে শরবত হিসেবে খাওয়ার চল ছিল, এতে প্রসাবের জ্বালা পোড়া সেরে যেত।
সকালের নাস্তায় আটিয়া কলা দই, চিড়া ও মুড়ি কিংবা ছাতুর সঙ্গে আটিয়া কলা ভীষণ জনপ্রিয় ছিল। এই কলা বরাবরই পথ্য হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা দেশীয় খাবারের সঙ্গে হারিয়ে যেতে বসেছে আটিয়া কলা বা বিচি কলা। এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষাবাদ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের কলা।
ধরন অনুযায়ী দেশি আটিয়া কলা মোটা, গোল, খাটো ও ভেতরে বিচি হয়। এ কলায় অনেক ভিটামিন, আয়রন ও প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। গ্রামে এখনও প্রচলিত আছে আটিয়া কলা ও চিড়াভিজা খেলে পেটের সমস্যা সেরে যায়।
একটি বড় মাপের কলা খেলে ১০০ ক্যালোরির বেশি শক্তি পাওয়া যায়। কলাতে রয়েছে সহজে হজমযোগ্য শর্করা। শর্করা জাতীয় খাবার পরিপাকতন্ত্রকে হজম করতে সাহায্য করে। তিনি বলেন, আটিয়া কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন ও স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ নিশ্চিত করে। এ কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে।