স্বাস্থ্য

আনারসের রসালো গুণ

সারা বছরই মোটামুটি সব ধরনের ফল পাওয়া যায় বাজারে। ফল হিসেবে আনারস অনেকের কাছেই ততটা পছন্দের না। তবে নানা রোগের পথ্য হিসেবে এই ফল খাওয়ার একটা চল আমাদের সমাজে আছে। বিশেষ করে জ্বর হলে আনারস যেন খেতেই হবে। আনারস শুধু কি জ্বরের ক্ষেত্রেই উপকার করে থাকে? নাকি এর আর কোনো পুষ্টিগুণ আছে? প্রচুর ক্যালরি সমৃদ্ধ এই ফলই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক চলুন।

বাড়তি ফ্যাট ঝরায় :

আনারস এমন একটি ফল যার মধ্যে রয়েছে নানা রকম ঔষধি গুণ। বিশেষ করে শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে যারা দুশ্চিন্তায় থাকেন তাদের ক্ষেত্রে আনারস হতে পারে দারুণ একটি খাবার। এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ এবং ভিটামিন সি এর উপস্থিতি রয়েছে। এটি খেলে দীর্ঘ সময় ক্ষুধা লাগে না। ফলে শরীরে থাকা বাড়তি ফ্যাট বার্ন হতে থাকে। এই ফলটিকে ফ্রুট সালাদ হিসেবে খেতে পারেন ফ্যাট কমাতে।

ত্বক সুরক্ষায় :

আনারসে এমন কিছু উপাদান আছে যা আপনার শরীরকে আরও সুন্দর করে তুলবে। বিশেষ করে দেহের ত্বকের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের মধ্যে থাকা মৃত কোষগুলোকে দূর করে ত্বককে স্বাভাবিক করে তোলে। ত্বকে মৃত কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ত্বক কুঁচকে যাবার মতো সমস্যা হতে পারে। আনারসের মধ্যে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা অ্যান্টি এজিংয়ের কাজ করে। বয়সকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে এই ফলটি বেশ কাজের।

ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ :

আনারসের সবচেয়ে চমৎকার একটি কাজ হলো এটি উচ্চ রক্তচাপে ভোগা রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। রসালো এই ফলটিতে ব্রোমেলিন নামক একটি উপাদান রয়েছে। যা উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে খুব দ্রুত। তাই যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তারা এই ফলটি খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ঠান্ডা কাশি সারাতে :

ঠান্ডা কাশিতে নারস বেশ উপকার করে থাকে। বিশেষ করে ভাইরাস জনিত যে ঠান্ডা কাশি হয়ে থাকে তা থেকে খুব সহজেই মুক্ত থাকা যায় আনারস খেয়ে। নিয়মিত আনারস খেলে দুই-তিন দিনের মধ্যেই এই ঠান্ডা কাশি সেরে যাবে। এছাড়া নাক দিয়ে পানি পড়া কিংবা গলাব্যথা সারাতেও আনারসের নামডাক সেই প্রাচীনকাল থেকেই।

পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে :

আনারসে অনেক বেশি পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা খুব কম ফলেই আছে। এই ফলটিতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং থিয়ামিনের উপস্থিতি বিদ্যমান। এছাড়া ম্যাগনেশিয়াম, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং বিটা ক্যারোটিনও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। এইসব উপাদান মানদদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যার অভাবে শরীরে পুষ্টি ঘাটতি দেখা দেয়। তাই শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করতে আনারস খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।

মুখের স্বাস্থ্য রাখে সুরক্ষিত:
দাঁতের মাড়ি ও ওরাল ক্যান্সার প্রতিরোধে আনারসে উপস্থিত কিছু বিশেষ উপাদান কাজ করে থাকে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button