স্বাস্থ্য

পুষ্টিগুণে ভরপুর ‘শুঁটকি’

অনেকেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে শুঁটকি। আবার অনেকেই এর গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাছ রুচিবর্ধক খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম। সাধারণত কাঁচা মাছে লবণ মাখিয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে শুঁটকি বানানো হয়। এতে মাছের দেহের পানি ও তরল অংশ শুকিয়ে যায়। ফলে মাছে কোনো জীবাণু জন্মাতে পারে না। যদিও শুঁটকি স্যাঁতস্যাঁতে স্থানে রাখলে তাতে ফাঙ্গাস পড়ে যায়।

কাঁচা মাছকে শুঁটকি বানানোর জন্য প্রচুর রোদে শুকানো হয়। সূর্যের আলোতে থাকা ভিটামিন ডি প্রবেশ করে শুঁটকির অভ্যন্তরে। অর্থাৎ পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে এতে। আর হাড়, দাঁত, নখের মজবুত গঠনে ভিটামিন ডি বেশ জরুরি।

ভিটামিন ডি-এর অভাবে রিকেটস নামক হাড়ের রোগ হয়ে থাকে। এই রোগ হয়ে শিশুর হাড়ের গঠন দুর্বল হয়, হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়। বড়দেরও এই সমস্যা হয়। তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাকে অস্টিও ম্যালাসিয়া বলা হয়। এই শারীরিক সমস্যাগুলো দূর করতে শুঁটকি বেশ কার্যকর।

শরীরের জন্য উপকারী অনেক খনিজ লবণ রয়েছে এই মাছে। আমাদের রক্তশূন্যতা দূর করা, দাঁতের মাড়িকে দৃঢ় করা ইত্যাদির জন্য এটি বেশ জরুরি। শুঁটকিতে রয়েছে আমিষ বা প্রোটিন ও কোলেস্টেরল। যারা কঠিন দৈহিক পরিশ্রম করেন তাদের জন্য যোগ্য খাবার শুঁটকি। তবে যাদের অতিরিক্ত ওজন কিংবা দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তাদের শুঁটকি কম খাওয়া ভালো।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শুঁটকি মাছ খায় এমন ব্যক্তিদের ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর, যক্ষ্মা এই অসুখগুলো সহজে হয় না। তবে অতিরিক্ত ধূমপান বা যেকোনো প্রকার মাদকদ্রব্য যক্ষ্মার জন্য সহযোগী হিসেবে কাজ করে। কিডনি, পিত্তথলি, ইনফেকশন জাতীয় সমস্যা থাকলে শুঁটকি মাছ খাওয়া বাদ দিন। কেননা, এটি উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরের জন্য হুমকিস্বরূপ।

শুঁটকিতে রয়েছে আয়রন ও আয়োডিন। আর তাই দেহের রক্ত বৃদ্ধি করে এটি। সেসঙ্গে বাড়ায় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। দেহের লবণের ঘাটতি পূরণ করে এটি। তবে উচ্চমাত্রার প্রোটিনসমৃদ্ধ হওয়ার জন্য হৃদরোগী, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য বর্জনীয়।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button