স্বাস্থ্য

বাচ্চাদের চোখের সমস্যা

কী করে বুঝবেন আপনার সন্তানের চোখে সত্যিই কোনও সমস্যা হচ্ছে, নাকি এটা নিছকই মনের ভুল বা  অনেক শিশুই আছে যাদের চোখ যতক্ষণ না মারাত্মক খারাপ হচ্ছে ততক্ষণ চিকিত্‌সাই শুরু হয় না। এতে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জন্মগত লেজি আই (এমব্লায়োপিয়া), ক্যাটারাক্ট (ছানি), গ্লকোমা, রেটিনার ক্যান্সার (রেটিনোব্লাস্টোমা) এর মত দূরারোগ্য ব্যাধিও হতে পারে!

কখন চোখ পরীক্ষা করাবেন?

– যদি বাবা-মা দুজনেই কিংবা বাবা অথবা মা’র অনেক বেশি পাওয়ার এর চশমা থাকে।
– পরিবারের কারুর জন্মান্ধতা জনিত রোগ, রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসা (রাতকানা), জন্মগত ছানি (কনজেনিটাল ক্যাটারা), গ্লুকোমা, রেটিনাতে ক্যান্সার (রেটিনোব্লাস্টোমা) থাকলে।
– বাবা, মায়ের বিয়ে নিজেদের আত্মীয়র মধ্যে হলে।
– মায়েরর গর্ভধারণকালে যদি ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপ, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি রোগ আর সিগারেট, মদ-এর নেশা থাকলে।
– পরিণত হবার আগেই যদি শিশুর জন্ম হলে।
– জন্মের সময় বাচ্চার ওজন যদি দেড় কেজির কম হয়।
– হার্ট, কিডনি, মাথায় জন্মগত ত্রুটি থাকলে।
– যখন তখন শিশুর অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে।
– সন্তানের হাঁটাচলা, কথা বলা দেরিতে শুরু হলে।

কখন সতর্ক হবেন?

– একটু যদি ট্যারা (চোখ বাকা) ভাব দ্যাখেন।
– মাথা এলিয়ে যদি কোনও জিনিস ভালোভাবে দেখার চেষ্টা করে অথবা চোখের এক কোণ দিয়ে বই পড়ছে বা টিভি দেখছে কি না।
– যদি পড়ার বই বা গল্পের বই পড়তে না চায়।
– হাতের লেখা ক্রমশ খারাপ হয়।
– লিখতে বা আঁকতে না চায়।
– স্কুলে বোর্ড থেকে কপি করতে না পারে ঠিক মত।
– বাড়িতে খুব কাছ থেকে টিভি দেখলে।
– চোখের পাতায় মাঝে মাঝে অঞ্জনি হলে, চোখ দিয়ে পানি পড়লে, চোখ কুঁচকে দেখতে হলে।
– দূরের জিনিস পড়তে না পারলে।
– উজ্জ্বল আলোর দিকে একদমই তাকাতে না পারলে।
– চোখের পাতা যদি বেশি পিটপিট করলে অথবা চোখ বন্ধ রাখতে বেশি ভালোবাসলে।

এর মধ্যে যে কোনও একটি কারণ থাকলেই দেরি না করে সন্তানের চোখ দেখিয়ে নেওয়া উচিত। যদি জন্মানোর সময় চোখের কোনও গোলমাল না থাকে তাহলে স্কুলে ভর্তি করার আগে আই চেক-আপ করিয়ে নিন। ঠিক সময়ে রোগ ধরা পড়লে সেরে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button