উত্তেজনার মধ্যেই ‘গজনবী’ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান
প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে উত্তেজনার মধ্যেই নতুন ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘গজনবী’ উৎক্ষেপণ করল পাকিস্তান। বুধবার গভীর রাতে একটি সেনা ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে এই ভূমি-থেকে-ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী।
দেশটির সামরিব বাহিনীল ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনের(আইএসপিআর) ডিরেক্টর জেনারেল আসিফ গফুর জানিয়েছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ২৯০ কিমি দূরে আঘাত হানতে পারে। শক্তিশালী এই ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে উৎক্ষেপণের জন্যে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাক সামরিক বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজিসিএসসি) চেয়ারম্যানও।
‘গজনবী’র বিশেষত্ব হল স্বল্পপাল্লার ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র বহন করতে পারে। সে কারণেই প্রয়োজন মাফিক একে ব্যবহার করার সুবিধা অনেক বেশি।
১৯৯৫ সালে প্রথম বার ওই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ হয়। পরে সেটিতে আরও পরিবর্তন আনা হয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যালিস্টিক মিসাইলের নানামাত্রিক ব্যবহার রয়েছে।
পাক সামরিক দফতরের মুখপাত্রের দাবি, এই বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্রে রয়েছে ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স প্রোগ্রাম। এর ফলে বহুদূর থেকে আসা মিসাইলকে প্রতিহতও করতে পারবে এই অস্ত্রটি। গত জানুয়ারি মাসেও পাকিস্তান একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছিল।
ইতিমধ্যেই ভারত-পাক কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। কাশ্মিরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তর প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক মঞ্চে গিয়েছে পাকিস্তান। বিশ্ব পরিমণ্ডলে ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বেশ আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয়েছে ইমরান খানের সরকার। পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে। এছাড়া ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। বন্ধ করেছে বাস-ট্রেনের পরিষেবা।