আন্তর্জাতিক

করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৮০৩ জন

বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ৭৭ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যায় সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বে সবচেয়ে পরাক্রমশালী এ দেশটি এখন মৃত্যুপুরী। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছে দুই হাজার ৮০৩ জন।

একদিনে যে কোনো দেশের চেয়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর রেকর্ড এটি। এ মহামারীতে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছে ৪৫ হাজার ৩৪৫ জন। আক্রান্তের দিক থেকেও শীর্ষে অবস্থান দেশটির।

এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ১৯ হাজার ১৬৪ জন। শুধু নিউইয়র্কেই মারা গেছে ১৯ হাজার ৬৯৩ জন। আলো ঝলমলে শহরটি এখন মৃত্যুপুরী। গত ২৪ ঘণ্টায় এ শহরে মারা গেছে ৭৬৪ জন।

এ অবস্থায় একদিন আগেও নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন রাজ্যে করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মার্কিন নাগরিকরা লকডাউন তুলে নিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

নিউইয়র্কের পরই সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ৭৫৩ জন নিউজার্সিতে, এর পর মিশিগানে ২ হাজার ৭০০, ম্যাসাচুসেটসে ১ হাজার ৯৬১, পেনসিলভানিয়ায় ১ হাজার ৬১৪ ও ক্যালিফোর্নিয়ায় ১ হাজার ২৯৮ জন মারা গেছেন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছে এক লাখ ৭৭ হাজার ৬৪১ জন।

প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৫ লাখ ৫৭ হাজার ১৮২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ছয় লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, এ পর্যন্ত যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল, তার ২১ শতাংশ মানুষ মারা গেছে। করোনায় আক্রান্তদের শতকরা তিন ভাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক আর এমন গুরুতর রোগীর সংখ্যা ৫৭ হাজার ২৫৪ জন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে এ পর্যন্ত যত মানুষ মারা গেছে, তার মধ্যে আমেরিকা এখন সবার শীর্ষে। দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৪৫ হাজার ৩৪৫ জন।

এর মধ্যে নিউইয়র্ক শহরে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে। সেখানে গণকবরের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। কোনো কোনো হাসপাতালে লাশ রাখার জায়গা নেই।

এ ছাড়া স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ ৪ হাজার ১৭৮, মারা গেছে ২১ হাজার ২৮২ জন। ইতালিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫৭, মারা গেছে ২৪ হাজার ৬৪৮ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫০, মারা গেছে ২০ হাজার ৭৯৬ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৩, মারা গেছে ৫ হাজার ৮৬ জন।

যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৪, মারা গেছে ১৭ হাজার ৩৩৭ জন। তুরস্কে আক্রান্ত ৯৫ হাজার ৫৯১, মারা গেছে ২ হাজার ২৫৯ জন। ইরানে আক্রান্ত ৮৪ হাজার ৮০২, মারা গেছে ৫ হাজার ২৯৭ জন। চীনে আক্রান্ত ৮২ হাজার ৭৮৮, মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩২ জন।

ব্রাজিলে আক্রান্ত ৪৩ হাজার ৭৯, মারা গেছে ২ হাজার ৭৪১ জন। বেলজিয়ামে আক্রান্ত ৪০ হাজার ৯৫৬, মারা গেছে ৫ হাজার ৯৯৮ জন। কানাডাতে আক্রান্ত ৩৮ হাজার ৪২২, মারা গেছে ১ হাজার ৮৩৪ জন। নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ৩৪ হাজার ১৩৪, মারা গেছে ৩ হাজার ৯১৬ জন।

সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ২৮ হাজার ৬৩, মারা গেছে ১ হাজার ৪৭৮ জন। সুইডেনে আক্রান্ত ১৫ হাজার ৩২২, মারা গেছে ১ হাজার ৭৬৫ জন। এ ছাড়া ভারতে আক্রান্ত ২০ হাজার ৮০, মারা গেছে ৬৪৫ জন। পাকিস্তানে আক্রান্ত ৯ হাজার ৫৬৫, মারা গেছে ২০১ জন। বাংলাদেশে আক্রান্ত ৩ হাজার ৩৮২, মারা গেছে ১১০ জন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button