খাশোগির খুনিদের ভয়ংকর কথোপকথন প্রকাশ
প্রতিবেদনে দুজন অভিযুক্তর আলাপের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তারা এভাবে কথা বলেন:
মোতরেব: একটি ব্যাগে লাশ ঢোকানো সম্ভব?
আল-তুবেগি: না। অনেক ভারী। লম্বাও অনেক। আসলে আমি সবসময় নিস্তেজ দেহ নিয়ে কাজ করেছি। জানি সেগুলো কীভাবে ভালো করে কাটতে হয়। একটু আগে মারা যাওয়া গরম দেহ কখনো কাটিনি। কিন্তু এটাও সহজে পারব। যখন লাশ কাটি তখন সাধারণত ইয়ারফোন দিয়ে গান শুনতে থাকি। একই সঙ্গে কফি আর সিগারেট খেতে থাকি।
…এভাবে চলতে থাকে দুজনের ভয়াবহ কথোপকথন।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগি। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।
বিয়ে সংক্রান্ত কাজে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন খাশোগি। শুরুতে তার নিখোঁজের অভিযোগ অস্বীকার করে সৌদি।
তবে সংবাদমাধ্যমে তুর্কি গোয়েন্দাদের একের পর এক ‘তথ্য ফাঁসের’ মুখে ১৯ অক্টোবর খাশোগি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে বলে স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। যদিও এর সঙ্গে সৌদি যুবরাজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে তারা দাবি করে।
দূতাবাসে ঢোকার পর হিট স্কোয়াডের প্রধান মাহের আবদুল আজিজ মোতরেব খাশোগিকে বলেন, ‘আমাদের কথা মতো কাজ করলে কোনো ক্ষতি করা হবে না।’
রিয়াদে ছেলেকে ফোন করে ‘নিরাপদে আছি’ বলতেও বলা হয়। কিন্তু খাশোগি সেটি বলতে চাননি। তখন তিনি প্রশ্ন করেন, ‘তোমরা কি আমাকে খুন করবে? শ্বাসরোধ করে মারবে?’
সবকিছু বোঝার পরও খাশোগি নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন। মোতরেব হিট স্কোয়াডের পাঁচজনকে নির্দেশ দেন, নাইলন ব্যাগ দিয়ে শ্বাসরোধ করতে। তখন খাশোগি বলেন, ‘আমার মুখ ঢেকো না। অ্যাজমা আছে।’
খুনিদের সঙ্গে খাশোগি পাঁচ মিনিট লড়াই করেন। এরপর নিথর হয়ে যান। করাত দিয়ে খাশোগির দেহ খণ্ডবিখণ্ড করেন ডাক্তার তুবেগি।