জেগে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার মেরাপি আগ্নেয়গিরি
ইন্দোনেশিয়ার ১২০টিরও বেশি জীবন্ত আগ্নেয়গিরির মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় মেরাপি। ২০১০ সালে মেরাপির ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতে অন্তত সাড়ে তিন শ মানুষের মৃত্যু হয়। এখন আবারও পুরোপুরি সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ জাভা দ্বীপে অবস্থিত আগ্নেয়গিরিটি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই একটু একটু করে সক্রিয় হচ্ছিল মেরাপি পর্বত। এখন মেরাপি থেকে থেমে থেমে লাভা বেরিয়ে আসছে, গ্যাস নির্গত হচ্ছে। আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের আকাশ ধোঁয়া ও ছাইয়ে ঢেকে গেছে বলে জানিয়েছে ইয়োগিয়াকার্তা শহরের আগ্নেয়গিরি ও ভূতাত্ত্বিক বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার লাভা ও গ্যাস নির্গত হয়েছে মেরাপির গিরিমুখ থেকে। তবে রোববার অন্তত সাতবার মেরাপি পর্বত থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। পাথর, কাদামাটি, লাভা আর গ্যাসের মিশ্রিত পাইরোক্লাস্টিক দ্রুত গতিতে নেমে আসছে পাহারের দক্ষিণ-পশ্চিমে সমতলের দিকে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও উদগীরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। তবে হতাহতের খবর মেলেনি।
মেরাপির উর্বর ঢাল অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের গিরিমুখ থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ভূতত্ত্ব ও আগ্নেয়গিরি গবেষণা সংস্থা। লাভার স্রোত বিপজ্জনক হয়ে ওঠে কি-না, সে বিষয়েও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় তিন হাজার মিটার উঁচু পর্বতটির অবস্থান ইয়োগিয়াকার্তার কাছে। প্রাচীন শহরটিতে কয়েক লাখ মানুষের বাস। বিশাল মেট্রো প্রকল্প ঘিরে রয়েছে শহরটিকে।
উল্লেখ্য, ভূমিকম্পপ্রবণ ‘রিং অফ ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ায় প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়।