তালেবান-ট্রাম্প বৈঠক বাতিল, তালেবানদের হুমকি
তালেবান নেতাদের সঙ্গে প্রথমবার মুখোমুখি গোপন শান্তি আলোচনায় বসার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের। কিন্তু রোববারের ওই পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন তিনি। তালেবানরা একে তাদের প্রতি তিরস্কার হিসেবে দেখছে এবং অধিক পরিমাণে মার্কিন নাগরিকের প্রাণহানী হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড রাজ্যের পাহাড়ি অবকাশযাপন কেন্দ্র ক্যাম্প ডেভিডে ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল রোববার। এর আগেরদিন অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দিয়ে টুইট করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এক বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হন। এর মধ্যে রয়েছেন একজন মার্কিন সেনা সদস্য। এ হামলার দায় স্বীকার করে তালেবানরা। দায় স্বীকারের পরই ট্রাম্প ওই বৈঠকটি বাতিলের ঘোষণা দেন টুইটারে। এতে তিনি লিখেছেন, দরকষাকষির অবস্থানকে শক্তিশালী করতে কোন ধরনের মানুষ এত মানুষকে হত্যা করতে পারে? তিনি আরো লিখেছেন, যদি তারা এই অত্যাসন্ন গুরুত্বপূর্ণ শান্তি আলোচনার সময়ে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হতে না পারে, এমনকি তারা যদি নিরপরাধ ১২ জন মানুষকে হত্যা করতে পারে, তাহলে যেকোনো অর্থে অর্থপূর্ণ একটি চুক্তিতে পৌঁছার কোনো শক্তি সম্ভবত তাদের নেই।
এ খবর দিয়ে বৃটেনের অনলাইন দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, শান্তি আলোচনার এই পরিকল্পিত আয়োজন ও তা হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়ায় আফগানিস্তানে ভবিষ্যত শান্তি আলোচনার বিষয়ে একটি প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। এই শান্তি আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত হওয়া নিয়ে সেই প্রশ্ন। ওদিকে বৈঠক বাতিল হওয়ার পর তালেবানরা রোববার সতর্কতা দিয়েছে। তারা বলেছে, বৈঠক বাতিলের অর্থ হলো আরো বেশি মার্কিনির প্রাণহানী ঘটবে আফগানিস্তানে। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, একই সময়ে আফগানিস্তানে হামলা জোরালো করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা। তবে এতে অধিক হারে মার্কিনির প্রাণহানী ঘটবে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা যে শান্তিবিরোধী অবস্থানে বিশ্ববাসীর কাছে তা উন্মুক্ত হয়ে পড়বে। তাদের প্রাণহানী ও সম্পদের ক্ষতি বৃদ্ধি পাবে।