আন্তর্জাতিক

‘তুরস্ক-আজারবাইজান দুই দেশ, এক জাতি’

তুরস্কের সংসদ স্পিকার মুস্তাফা সেনতপ বলেছেন, তুরস্ক-আজারবাইজান দুই দেশ, এক জাতি; এটা শুধু একটি কথা নয়, বাস্তবতা। বুধবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বুধবার এক বিবৃতিতে আর্মেনিয়া জানিয়েছে, আজারবাইজানের হামলায় তিন আর্মেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। আর্মেনিয়ার দাবি, আজেরি বাহিনী আকস্মিক তাদের সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

একই দিন আজারবাইজানও পাল্টা অভিযোগ তুলেছে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে। বাকুর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, বুধবার কেলবাজার সীমান্তে সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় আর্মেনীয় বাহিনী। এতে তাদের দুই সদস্য আহত হন।

আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তুরস্কের স্পিকার বলেন, তুরস্ক-আজারবাইজান এক জাতি এর বাস্তব প্রমাণ হলো-গত বছরের নাগোর্নো-কারাবাখ যুদ্ধে আজারবাইজানকে সমর্থন। সংঘাত পরবর্তী তুরস্ক নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল পুনর্নির্মাণে ভূমিকা রাখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি

তুরস্কের স্পিকার মুস্তাফা সেনতপ বলেন, পাসপোর্ট ছাড়াই শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে দুই দেশের মধ্যে ভ্রমণ গত এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যের বিষয়েও সমঝোতা চলমান রয়েছে।

এর আগে গত বছরের নাগোর্নো-কারাবাখ যুদ্ধে তুরস্ক সরাসরি আজারবাইজানকে সমর্থন দেয়। তুরস্কের সমর্থন এবং অত্যাধুনিক তুর্কি ড্রোন ব্যবহার করে আজেরি সেনারা যুদ্ধে ব্যাপক সফলতা পায়।

নাগোরনো কারাবাখ নিয়ে অনেক বছর ধরে বৈরী সম্পর্ক আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে। পার্বত্য অঞ্চল নাগোরনো কারাবাখ সোভিয়েত আমলে আজারবাইজানের অংশ ছিল। তবে অঞ্চলটিতে আর্মেনিয়ার নৃগোষ্ঠীরা বসবাস করে। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে এক যুদ্ধে আর্মেনিয়ার সহায়তায় আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অঞ্চলটি দখল করে নেয়।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button