বাবরি মসজিদে মোম জ্বালাতে চায় হিন্দু পরিষদ
কণিকা অনলাইন :
ভারতে রাম জন্মভূমি–বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত শুনানী চলছে। আর এই মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে যে কোনোদিন। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে অযোধ্যায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। সেখানে চার বা তার বেশি ব্যক্তির জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) অযোধ্যায় ১৪৪ ধারা জারিতে হতাশা প্রকাশ করেছে। দীপাবলি উপলক্ষে ওই বিতর্কিত ভূমিতে মাটির প্রদীপ জ্বালানোর অনুমতি চেয়েছে হিন্দু পরিষদ। অন্যদিকে ওই মামলায় মুসলিমদের পক্ষের আইনজীবী হাজি মেহবুব মন্তব্য করেছেন, বিতর্কিত মাজারে যদি ভিএইচপিকে প্রদীপ জ্বালানোর অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে মুসলমানরাও সেখানে নামাজ পড়ার অনুমতি চাইবে।
জানা গেছে, ভারতের সর্বোচ্চ আদালত চাইছে ১৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের অবসরের আগেই এই মামলার নিষ্পত্তির সিদ্ধান্তে পৌঁছতে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনুজ কুমার ঝা–র মন্তব্য তুলে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, অযোধ্যা মামলার রায়ের জন্য ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আসন্ন উৎসবগুলির কথা মাথায় রেখেই ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অযোধ্যায় যাঁরা বাস করছেন এবং বাইরে থেকে এখানে যাঁরা আসছেন তাঁদের সকলের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
এদিকে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ অযোধ্যায় ১৪৪ ধারা জারির বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে। দীপাবলি উপলক্ষে ওই বিতর্কিত জমিতে মাটির প্রদীপ জ্বালানোর অনুমতি চেয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহন্ত নয়ন দাস বলেন, পুরো অযোধ্যা যখন দীপাবলিতে আলোকিত হবে, তখন রাম লাল্লা কেন অন্ধকারে থাকবে? আমরা বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে এই বিতর্কিত স্থানে প্রদীপ জ্বালানোর জন্যে অনুমতি চাইবো।
ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মুসলিম আইনজীবী হাজি মেহবুব বলেন, বিতর্কিত মাজারে যদি ভিএইচপিকে প্রদীপ জ্বালানোর অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে মুসলমানরাও সেখানে নামাজ পড়ার অনুমতি চাইবে। উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয় এবং এর ফলে ভারতে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে।
সূত্র : আজকাল