আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দলীয় বৈঠকের পরই মুক্তি পেলেন তালেবান নেতারা!

আফগানিস্তানের কারাগার থেকে দলের একাধিক নেতা মুক্তি পেয়েছেন বলে জানিয়েছে তালেবান। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তালেবানের সাবেক দুই ছায়া গভর্নরও রয়েছেন। আল জাজিরা জানিয়েছে, পাকিস্তানের রাজধানীতে শীর্ষ তালেবান নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এক কূটনীতিকের বৈঠকের কয়েক দিনের মাথায় মুক্তি পেলেন তারা। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে আফগান কর্তৃপক্ষ।

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ বছরের দখলদারিত্বের অবসানকল্পে সম্প্রতি কাতারে তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। আলোচনায় আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ওয়াশিংটন। তবে শেষ মুহূর্তে আলোচনা বাতিলের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত ৫ সেপ্টেম্বর কাবুলের কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত কূটনৈতিক এলাকায় গাড়িবোমা হামলায় এক মার্কিন সেনাসহ ১২ জন নিহত হন। তালেবানরা ওই ঘটনার দায় স্বীকারের পর মার্কিন সেনা সদস্যের প্রাণহানির ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা বাতিলের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

আফগানিস্তানে বর্তমানে ১৪ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। কিন্তু ২০০১ সালের পর দেশটিতে এখন সবচেয়ে বেশি এলাকা তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে। ফলে পরিস্থিতি বিবেচনায় দলটির সঙ্গে সমঝোতার উদ্যোগ নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো। তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাসহ সারাদেশে ছায়া সরকার গঠন করে ওই তালেবান। নিজস্ব এলাকায় তাদের স্বতন্ত্র আদালতও রয়েছে।

এদিকে তালেবান জানিয়েছে, সম্প্রতি তারা নিজেদের হাতে আটক তিন ভারতীয় প্রকৌশলীকে মুক্তি দিয়েছে। তবে ভারত কিংবা আফগানিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে এর সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এপি’কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কুনার প্রদেশের ছায়া গভর্নর শেখ আব্দুল রহিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় নিমরোজ প্রদেশের ছায়া গভর্নর মৌলভী রশিদ। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা বিভাগ ও প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

তালেবান নেতারা কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, দলটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও শীর্ষ মধ্যস্থতাকারী মোল্লা আব্দুল ঘানি বারাদারের সঙ্গে গত সপ্তাহে পাকিস্তানের রাজধানীতে যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান বিষয়ক দূত জালমেই খালিলজাদের বৈঠক হয়েছে। তবে ওয়াশিংটন জোর দিয়ে বলেছে, পাকিস্তানের উদ্যোগে নতুন করে শুরু হওয়া শান্তি আলোচনায় খালিলজাদ ছিলেন না। অন্যদিকে তালেবান ও পাকিস্তান দুই পক্ষই তার উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button