সৌদি তেলক্ষেত্রে ১৮টি ড্রোন ও ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, তেলক্ষেত্রে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ প্রদর্শন করে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে এগুলো প্রমাণ করে ওই হামলায় জড়িত ছিল ইরান। যদিও ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা অবশ্য আগেই দায় স্বীকার করেছে।
তবে শনিবারের ওই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। একই সঙ্গে হামলার শিকার হলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে ওই হামলার প্রমাণাদি উপস্থাপন করে সৌদি আরব। সেখানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ রাখা হয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল মালকি জানান, তারা যা উপস্থাপন করেছেন সেটিই প্রমাণ করে হামলা এসেছিল উত্তর দিক থেকে এবং ‘প্রশ্নাতীতভাবেই ইরান দ্বারা পরিচালিত’। বর্তমানে হামলার স্থান চিহ্নিত করতে কাজ করে যাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ইরানের ইউএভি বা চালকবিহীন উড়ন্ত বাহনের ‘ডেল্টা উইং’ আছে বলেও দাবি করা হয়। “কম্পিউটারে ইউএভি ডেটা পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে এটি ইরানের”, বলেন মালকি। আরও জানান, ১৮টি চালকহীন বাহন দিয়ে হামলা হয় আবকাইক তেল শোধনাগারে এবং ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করে দুটি জায়গায়। এর মধ্যে চারটি খুরাইজ তেলক্ষেত্র ও তিনটি পড়ে আবকাইকে।
এই সময় ম্যাপ ও ক্ষয়ক্ষতির ছবিসহ আবকাইকে চালকবিহীন যানের হামলার ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
এ নিয়ে ইরান এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। দেশটির এক কূটনৈতিক নোটে বলা হয়, “ইরানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা দ্রুতই জবাবে পাবে।” রয়টার্স ইরানের প্রেসিডেন্টের একজন উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে জানায়, সংবাদ সম্মেলন দেখাচ্ছে সৌদি আরব ওই হামলার বিষয়ে ‘কিছুই জানে না।’
ওদিকে ইয়েমেন হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্র বলেন, স্যাটেলাইট থেকে নেওয়া ছবিগুলো বানানো এবং সৌদি আরব প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি চেপে গেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও দাবি করেছিল যে ওই হামলার পেছনে ইরানই ছিল। বুধবার সৌদি আরবে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও একে ‘অ্যাক্ট অব ওয়ার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে সামরিক হস্তক্ষেপে অনাগ্রহী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এ ঘটনার জবাব দেওয়ার জন্য ‘অনেক বিকল্প’ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের হাতে।