লিড নিউজ

চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে ভারত গেলেন তথ্যমন্ত্রী

মির্জা ফখরুল ইসলামরাই মানুষকে প্রতারিত করেছেন

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ভারত আমাদের অত্যন্ত বন্ধুপ্রতীম দেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমাদের সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা আরো অনেক বিসৃত হয়েছে। ’

চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে ভারত যাওয়ার প্রাক্কালে আজ মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে একথা বলেন।

মন্ত্রী ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্যের দু’টি চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেবেন।

 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভারতে ২০১৯ সাল থেকে সমগ্র ভারতে দেখা যায় বিটিভি। ত্রিপুরাতেও অনেক বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল দেখা যায়। সমস্যা হচ্ছে পশ্চিম বাংলায়। সেগুলো নিয়ে আলোচনা আছে। ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে ভারত সরকারের প্রতিবন্ধকতা নাই। প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে ক্যাবল অপারেটররা। তারা যে ফি দাবি করে সেটা দেওয়া সম্ভব না। ’

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জনগণ প্রতারিত হয়েছে- বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন কথার জবাবে সাংবাদিকদেরকে তিনি বলেন, ‘মাথাপিছু আয় গত ১৩ বছরে সাড়ে চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রয় ক্ষমতা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে আমরা বলতাম একজন শ্রমিকের মজুরি সাড়ে তিন কেজি চালের সমান মূল্যের হতে হবে। আর একজন শ্রমিক এখন তার মজুরি দিয়ে ১২ কেজি মোটা চাল কিনতে পারেন। চট্টগ্রাম অঞ্চলে আরো বেশি কিনতে পারে। অর্থাৎ প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘যে মানুষটি ১২-১৩ বছর আগে বিদেশ গেছে তারা দেশ চিনতে পারেন না। গ্রাম চিনতে পারে না। পুরো দেশ বদলে গেছে। সমগ্র পৃথিবী এটির প্রশংসা করছে। জাতিসংঘের মহাসচিব, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করেন। মির্জা ফখরুল ইসলামরা কিছুই দেখতে পায় না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরাই মানুষকে প্রতারিত করেছে। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল নিজেদের আখের গুছিয়েছে। দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে বিদেশে নিয়ে গেছে। এই টাকা দিয়ে তারেক জিয়া বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা যদি অপরাজনীতি না করত, সবকিছুতে না করার রাজনীতি না করত তাহলে দেশ আরো এগিয়ে যেত। ’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতের অবস্থান করবেন। তিনি ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ত্রিপুরার আগরতলার দ্বিতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব এবং ২৪ থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত আসামের গৌহাটির প্রথম বাংলাদেশ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেবেন। এসব আয়োজনে তিনি প্রধান অতিথি থাকবেন। চলচ্চিত্রের অনেক তারকা ইতিমধ্যেই ভারতে গেছেন।

মন্ত্রী আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরবেন। মঙ্গলবার রাতে আখাউড়া দিয়ে যাওয়ার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মো. শাহীন, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মো. জয়নাল আবেদীন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগ সভাপতি মো. শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button