লিড নিউজ

পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা: ডা. দীপু মনি

করোনা মহামারীর কারনে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার ভয়ে উদ্বিগ্ন অবিভাবকগণ। এই বুঝি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিবে, এই আশা নিয়ে অপেক্ষমান হাজারো শিক্ষার্থী-অবিভাবক। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির বিবেচনা করে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলে দেওয়া যেতে  পারে সেটা বলার কোনো সুযোগ নেই।

আজ রোববার (১৫ আগস্ট) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি দেশের এমন প্রেক্ষাপটে, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করেছি। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। এখন করোনার যে সংক্রমণের হার, মৃত্যুর হার, সবকিছু মিলিয়ে যে অবস্থা, সেসব বিবেচনায় কবে নাগাদ আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব সেটা বলার কোনো সুযোগ নেই’।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার এখন নিম্নগামী। কাজেই আমরা আশা করি, সবাই যদি যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে মৃত্যুহার আরও নেমে যাবে। বিশেষজ্ঞরা যেমন বলেন যে, শতকরা পাঁচ ভাগ বা তার কম হলে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায়। সেটা যেমন আমরা মাথায় রাখছি, তেমনি একইসঙ্গে টিকার কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে’।

একই প্রসঙ্গে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীও ঘোষণা দিয়েছেন আমাদের শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা আছেন তাদের সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে। যদি আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারি, সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে আর বাধা থাকবে না।। শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দেয়ার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অধিকাংশকেও টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। কাজেই বাকি শিক্ষার্থীদেরও যদি আমরা টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারি, সেক্ষেত্রে সংক্রমণের হার পাঁচে না নামলেও আমরা একটা সিদ্ধান্ত নেব।’

তিনি পুনরায় বলেন, ‘এখানে দুইটা বিষয়,  এক সংক্রমণের হার কমে যাওয়া আর সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। এ দুইটা যখন হবে তখন আমরা যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারব’।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো সময় সকল পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সার্বিক প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। এটি পুরোপুরি নির্ভর করে করোনা মহামারির অবস্থার ওপর। এটি কখন কী হয়! আমাদের গত বছরের অভিজ্ঞতা বলে, নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংক্রমণ অনেক কমে গিয়েছিল। এ বছরও যদি সেটা হয় তাহলে সে সময়ে আমরা ভেবেছি, এসএসসি ও এইচএসসির পরীক্ষা নিতে পারব ইনশাল্লাহ। সেই অনুযায়ী আমরা পরীক্ষার সময়সূচি ঠিক করেছি। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলে দেয়া সম্ভব হবে।’

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button