আন্তর্জাতিক

নারদ-কাণ্ডে গ্রেফতার আইপিএস অফিসার এসএএইচ মির্জা

নারদ-কাণ্ডে গ্রেফতার হলেন আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জা। সিবিআই সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। এই প্রথম নারদ তদন্তে কাউকে গ্রেফতার করলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

ইতিমধ্যেই তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তাঁকে হাজির করানো হবে।

নারদ স্টিং ফুটেজে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল মির্জাকে। কেন তিনি টাকা নিয়েছিলেন, সে বিষয়ে একাধিক বার জেরা করা হয়। তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো ফুটেজে এসএমএইচ মির্জাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। সেই সময় তিনি বর্ধমানের পুলিশ সুপার পদে ছিলেন। কেন তিনি ওই টাকা নিয়েছিলেন, কারও নির্দেশে টাকা নিয়েছিলেন কি না, সে বিষয়ে তাঁকে আগেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। পরে তাঁর বয়ান রেকর্ডের পাশাপাশি কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

২০১৪ সালে নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল ব্যবসায়ী সেজে স্টিং অপারেশন করেছিলেন বলে দাবি করেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে ২০১৬ সালে সেই স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো ফুটেজ সামনে আসে। তাতে রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের টাকা নিতে দেখা যায়। টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল এসএমএইচ মির্জার মতো পুলিশ কর্তাকেও। সিবিআই জেরায় ম্যাথু জানিয়েছিলেন, রাজ্য ব্যবসা করতে চান বলে ব্যবসায়ী সেজে তিনি তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের প্রস্তাব দেন। তখনই তাঁর কাছ থেকে ওই টাকা নেওয়া হয়।

তৃণমূল যদিও ম্যাথুর এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে। স্টিং অপারেশন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশেই তদন্তে নামে সিবিআই। স্টিং অপারেশনের নেপথ্যে আসল সত্যটা কী, তা জানার জন্য অভিযুক্তদের জেরা প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কয়েক জন নেতা-মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাদ করা হয়ে গিয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button