লিড নিউজ

রাজধানীতে এখনও শুরু হয়নি স্কুল খোলার প্রস্তুতি

করোনার কারণে গত বছরের মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই থেকে আজ পর্যন্ত ক্লাসে যায়নি শিক্ষার্থীরা। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা প্রশাসন স্কুল কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে খোলার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছে। কী প্রস্তুতি নিতে হবে, তা গত ফেব্রুয়ারিতেই জানানো হয়েছিল। তবে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ সরেজমিন পরিদর্শন করে সেভাবে প্রস্তুতি চোখে পড়েনি।
শনিবার রাজধানীর পুরান ঢাকা, মতিঝিল এবং সেগুনবাগিচার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলেজ ঘুরে দেখা গেছে, গেটে তালা ঝুলছে। ভবনের আঙিনায় শেওলা জমেছে এবং ঘাস উঠেছে। টেবিলগুলোয় ধুলার স্তর। স্কুলের দেয়াল ঘেঁষে বসেছে বাজার, হকারদের দোকানপাট।
পুরান ঢাকার কলেজিয়েট স্কুলের ফটকের সামনে গড়া অবৈধ লেগুনাস্ট্যান্ড রয়েছে। স্কুলের গেটে তালা ঝোলানো। এর আশপাশে বিভিন্ন চায়ের দোকান।
বংশালের মিল্লাত হাই স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুলের নিচে বেশ কয়েকজন আড্ডা দিচ্ছে। প্লাস্টিক কার্পেট, প্লেনশিট, রড, পাইপ ও বিভিন্ন কাঠের সামগ্রীর জমজমাট বাণিজ্য চলে এ এলাকায়। স্কুলের কিছু শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিচ্ছে। স্কুল খোলার ব্যাপারে কোনো ধরনের প্রস্তুত নেওয়া হয়নি।
বিদ্যালয়টির জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নাম না প্রকাশ শর্তে সময়ের আলোকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা পেলে শ্রেণিকক্ষগুলো ধোয়ামোছার কাজ শুরু করা হবে। সুরিটোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে হকারদের দোকান রয়েছে। আশপাশে রয়েছে তরিতরকারির দোকান।
এ ছাড়া আহমদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলতে গেছে। তবে সেগুনবাগিচা হাই স্কুল মাঠে বড় বড় ঘাস। আর একাংশের ঘাস কাটা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পুরো মাঠের ঘাস কেটে ফেলা হবে বলেও জানিয়েছে স্কুলের এক কর্মচারী।
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক সময়ের আলোকে জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করার জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। রোববার এ চিঠি প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যাবে। কেউ যদি সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করে তা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মহাপরিচালক।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর দেশের স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সোমবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button