স্বাস্থ্য

ওজন কমায় পেয়ারা, ডায়াবেটিস রাখে নিয়ন্ত্রণে

‘কাঠবেড়ালি! কাঠবেড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও?’— ছোটবেলায় নজরুলের এই কবিতা পড়েছি আমরা সবাই। কাঠবেড়ালি পেয়ারা খাক বা না খাক আমাদের পছন্দের তালিকাতে রয়েছে দেশি এই ফলটি। সাধারণ ও সহজলভ্য হওয়ায় বেশ জনপ্রিয় পেয়ারা। এই ফলের পুষ্টিগুণও রয়েছে অনেক। ভর্তা, চাটনি, জেলি নানা উপায়ে খাওয়া হয় পেয়ারা। এর পাতারও রয়েছে নানা গুণ।

ভিটামিন সি আর এ- তে ভরপুর ফল পেয়ারার স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে অনেক। চলুন আজ আলোচনা করা যাক এর গুনাগুণ নিয়ে-

ক্যানসারে ঝুঁকি কমানো-

লাইকোপিন, ভিটামিন সি, কোয়ারসেটিন এর মতো উপকারী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে পেয়ারাতে। এটি শরীরের ক্যানসারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে। বিশেষ করে প্রোসটেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি বিশেষ কার্যকর।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি-

প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে পেয়ারাতে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে এটি। পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের সাথে লড়াই করার শক্তিও জোগায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে-

চীনের চিকিৎসা শাস্ত্রে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারার ব্যবহার বেশ পুরোনো। ১৯৮৩ সালে ‘আমেরিকান জার্নাল অব চাইনিজ মেডিসিন’ প্রকাশ করে যে, পেয়ারার রসে থাকা বিভিন্ন উপাদান ডায়াবেটিস মেলাইটাসের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। এ ক্ষেত্রে পেয়ারার পাতাও বেশ কার্যকর। কচি পেয়ারা পাতা শুকিয়ে মিহি গুঁড়া করে নিন। প্রতিদিন এক কাপ গরম পানি এক চামচ পাতা গুঁড়ো দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে তারপর ছেঁকে পান করুন। উপকার মিলবে।

ওজন কমানো-

দেহের ওজন কমাতে বেশি আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। আর তাই আপনি ডায়েটে থাকলে নির্দ্বিধায় খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন পেয়ারা। চাইলে সালাদ হিসেবেও খেতে পারেন এটি।

হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে-

১৯৯৩ সালে ‘জার্নাল অব হিউম্যান হাইপারটেনশনে’ প্রকাশিত হয় যে নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্ত চাপ ও রক্তের লিপিড কমে। এছাড়াও পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি। নিয়মিত হৃদস্পন্দন ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পটাশিয়াম বিশেষ ভূমিকা রাখে।

ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে-

ব্রংকাইটিসের মতো বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগ সারাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে পেয়ারা। এতে থাকা উচ্চ পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন সি শ্লেষ্মা কমিয়ে দেয়।

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে-

চোখের জন্য বেশ উপকারী ভিটামিন এ। আর এই উপাদানটি রয়েছে পেয়ারাতে। এতে থাকা মিটামিন এ কর্নিয়াকে সুস্থ রাখে ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। কাঁচা পেয়ারা ভিটামিন এ এর ভালো উৎস।

হাতের নাগালে সহজেই মেলা ফল পেয়ারার কত উপকারিতা দেখলেন তো। আজ থেকে তবে পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস করুন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button