প্রোটিনে আগ্রহ কম নারীদের
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর এক হোটেলে ‘পুষ্টি আপডেট সামিট-২০১৯’ শীর্ষক আয়োজিত এক সভায় পুষ্টিবিদরা এসব কথা বলেন।
সামিটে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, দেশে বেশিরভাগ মা গর্ভকালীন মায়েদের ডাবল পুষ্টির প্রয়োজন ভেবেই ভিটামিন জাতীয় বিভিন্ন খাবার খেয়ে থাকেন। অথচ গর্ভবতী মা ও সন্তানের কতটুকু মাত্রায় প্রোটিন, মিনারেল, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড গ্রহণ জরুরী এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখান না। এতে করে তাদের দেহে পুষ্টি ঘাটতি ও নানা জটিলতা দেখা দেয়।
অ্যাপোলো হাসপাতালের ডায়াবেটিস বিভাগের প্রিন্সিপাল ডায়েটিশিয়ান ও পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী বলেন, গর্ভবতী মা ও ডায়াবেটিস রোগীদের সঠিক মাত্রায় প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা খুব জরুরী। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের পরামর্শ ছাড়াই নিজে সুস্থ্য থাকবেন বা তার অনাগত সন্তান পরিপুষ্ট হবে, এমন চিন্তায় অতিরিক্ত মাত্রায় নানা ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন। আর সঠিক মাত্রায় পুষ্টি জাতীয় খাদ্য বা ফুড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ না করায় পরবর্তীতে মা ও শিশু উভয়ই বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হোন।
সামিটে পুষ্টিবিদরা আরও জানান, বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং সোসাইটির তথ্য মতে, রাজধানীর বাইরে হাতেগোনা কয়েকটি হাসপাতাল ছাড়া এখনও পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে কোন পুষ্টিবিদ নিয়োগ নাই। বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৩০০ জন পুষ্টিবিদ কাজ করছেন। রোগীদের তুলানায় এ সংখ্যা অনেক কম। ফলে অপুষ্টিতে ভোগা অধিকাংশ নারীদের মধ্যে সুষম ও পরিপূরক পুষ্টি সম্পর্কে ধারণা ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের আগ্রহও কম। তাই গর্ভকালীন অপুষ্টিতে ভোগা ও ডায়াবেটিস রোগীদের পরিপূরক পুষ্টিকর খাদ্য বা ফুড সাপ্লিমেন্ট নিয়ে আইএবিএল’র এ কাজ প্রশংসার দাবি রাখে।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সিস বাংলাদেশ লিমিটেড (আইএবিএল) ও ফ্রান্সভিত্তিক পুষ্টি জাতীয় খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ড্যানোন এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওই সামিটে ১১২ জন পুষ্টিবিদ অংশ নেন।