বঙ্গোপসাগর উত্তাল কলাপাড়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে নদ-নদী পানি

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলের নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈরী এ হাওয়ার কারনে বঙ্গোপসাগরও উত্তাল হয়ে উঠেছে। সাগরের বড় বড় ঢেউ তীরে এসে আছঁড়ে পড়ছে। বুধবার সকাল থেকে দমকা হাওয়াসহ মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়। ফলে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিন্ম আয়ের খেঁটে খাওয়া মানুষেরা।
এদিকে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বেরিবাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে নদীর পানি প্রবেশ করে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর গ্রামের বেরিবাঁধটি রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। এতে প্লাবনের আশংকা রয়েছে ওই ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। গভীর মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পায়রা বন্দরকে ০৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সকল মাছ ধরা ট্রলার সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সক্রিয় বায়ুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর’র সদস্য লুৎফুল হাসান রানা বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারনে সাগর প্রচন্ড উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীরে এসে আছঁড়ে পড়ছে। ফলে সৈকতের ব্যাপক বালু ক্ষয় হচ্ছে।
আলীপুর মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির সভাপতি মো.অনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ৬৫ দিনে অবোরধ থাকায় সাগরে কোন ট্রলার নাই। তাই কোন দূর্ঘটনার সম্ভাবনা নাই। বর্তমানে সগর উত্তাল রয়েছে।