খুলনা বিভাগসারাদেশ

কেশবপুরে ৩ দিনে ৯ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত।

যশোর ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ যশোর কেশবপুরে কোনভাবেই  থামানো  যাচ্ছেনা  করেনার বিস্তার,  মহামারি আকার ধারন করার আশংকা করছেন সচেতনমহল। দারোগা-পুলিশ,স্বাস্থ্যকর্মী সহ  গত ৩ দিনে ৯ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। শনাক্তের আগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবাদ চলাফেরা ও মেলামেলার  পূর্ন তথ্য বের করা  খুব কঠিন কাজ, তাই অতি অল্প সময়ের মধ্যে কেশবপুর উপজেলাব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারীতে রুপ নিতে পারে।

কেশবপুরে করোনা ভাইরাস  মহামারি আকার ধারন করার আগেই আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্ষে আসা ব্যক্তিদের  দ্রুত চিহ্নিত করে তাদেরকে পরিক্ষা-নিরিক্ষা ও করোন্টাইনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন করোনা আতংক কেশবপুরবাসী।

বিশেষ করে পুলিশ অফিসার ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রানের খবরে কেশবপুরবাসীর মনে করোনা আতংক বিরাজ করছে। একজন স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা কর্তব্যের খাতিরে তাদের উধ্বার্তন কর্মকর্তাসহ   মানুষের সেবায় বিভিন্ন এলাকায়  অবাদ বিচারন এবং সংস্পর্ষে যেতে হয়। আক্রান্ত  ব্যক্তিরা অজ্ঞাত কারনে তাদের গতি-বিধির ব্যাপারে  প্রশাসনের কাছে অনেক কিছু গোপন রাখতে বাধ্য হয়। এটিও করোনা বৃদ্ধির একটি কারন হতে পারে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,যশোর  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে পাঠানো নমুনা পরিক্ষায় গত শনিবার কেশবপুর থানার একজন এবং  শহরের একই পরিবারের ৩সহ মোট ৪ ব্যক্তির শরীরে করোনায় পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তারা হলেন,  কেশবপুর থানার কনেস্টেবল আলমগীর হোসেন, শহরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের জ্যেতি প্রসাদ(৩০),তার স্ত্রী মিঠাই তরফদার  ও ননদ পুঁজা(২১)। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কেশবপুর থানার এ.এস.আই তরিকুল, শহরের ১নং ওয়ার্ড সাহাপাড়ার  তুষার ও  ত্রিমোহিনী গ্রামের গৃহবধু জুলেখা এবং বুধবার মির্জানগর কমিউনিটি ক্লিনিকের সাবিনা ইয়াসমিন ও সাতবাড়িয়া গ্রামের স্বাস্থ্য সহকারীর স্বামী আব্দুল মান্নানের শরীরে করোনা ধরা পড়ে।

এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা  কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, প্রশাসনের সহযোতায়  আক্রান্ত ব্যক্তিদের সকলের বাড়ী লকডাউন ও আইশ্লোসনে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button