কারাগারে জুম মিটিং: প্রধান ৪ কারারক্ষী বরখাস্ত, প্রত্যাহার ১৭
কারাবন্দি হয়েও অসুস্থতার অজুহাতে হাসপাতালে থাকা ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিনের মোবাইল ফোন ব্যবহার ও জুম মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার ঘটনায় চার প্রধান কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া চার প্রধান কারারক্ষীসহ ১৭ কারারক্ষীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) আটজনকে ও শুক্রবার (২ জুলাই) নয়জনকে প্রত্যাহার করা হয়। অন্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার বিকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক সুভাষ কুমার ঘোষ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসময় তিনি বলেন, যাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে তারা সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দায়িত্বরত ছিলেন।
কারা সূত্র জানায়, প্রায় দুই মাস আগে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা বললে রফিকুল আমীনকে কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে বসেই রফিকুল আমীন জুমে ব্যবসায়িক বৈঠক করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই রফিকুল আমীন এই জুম বৈঠক কীভাবে করলেন, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে কারা অধিদপ্তর। ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজনস) তৌহিদুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, এতদিন প্রিজন সেলে প্রধান কারারক্ষী ও কারারক্ষীরা দায়িত্ব পালন করতেন। এখন থেকে ডেপুটি জেলার পর্যায়ক্রমে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।