দুদকের হস্তক্ষেপে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল সংশোধন
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবকালে (লকডাউন সময়ে) ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হস্তক্ষেপে বিল সংশোধন হয়েছে।
বুধবার দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ কর্মকর্তা) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুদক অভিযোগ কেন্দ্র-১০৬ এ এক অভিযোগকারী অভিযোগ করেন, করোনাকালীন লকডাউন সময়ে তার দোকানের মিটার রিডিং না দেখে ভূতুড়ে বিল প্রদান করা হয়। অভিযোগ আমলে নিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সাউথ জোনকে অভিযোগের ব্যপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত পত্র প্রদান করে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।
ওই পত্রের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর অভিযোগটি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়। দপ্তরটি নিশ্চিত হয় করোনাকালীন সময়ে অভিযোগকারীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত মিটার রিডার মিটার রিডিং না নিয়েই ভুতুড়ে বিল প্রস্তুত করেছে। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রামের পাথরঘাটা অফিস-অভিযোগকারীর সাথে দ্রুত যোগাযোগ করে তার অতিরিক্ত বিল কমিয়ে বিল সংশোধন করে। এ রকম অনিচ্ছাকৃত ভুল ভবিষ্যতে আর ঘটবে না মর্মেও প্রতিশ্রুতি দেন।
অপরদিক বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, কাটাবাড়ি শাখা, গাইবান্ধাতে বয়স্ক ভাতার হিসাব খোলার জন্য ব্যাংকের একজন পিয়ন কর্তৃক নির্ধারিত ফি ১০ টাকার পরিবর্তে ১১০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ গৃহীত হয় দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে। গৃহীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা ম্যানেজার সাথে টেলিফোনিক আলোচনায় দ্রুত অভিযোগের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।
দুদকের টেলিফোনিক নির্দেশনা আমলে নিয়ে অভিযুক্ত পিয়নকে তাৎক্ষণিক বদলি ও ভবিষ্যতে এ ধরণনর কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়।