সারাদেশ

গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পড়েনি করোনার প্রভাব, প্রতিদিন চলে ফুটবল ম্যাচ!

,চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: করোনার প্রভাবে সারাদেশে লকডাউনে বন্দি থাকায় অনেকটা জনশূন্য চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকাগুলো। বারইয়ারহাট,ঠাকুরদীঘি,মিঠাছড়া মিরসরাই,বড়তাকিয়া, হাদি ফকিরহাট, নিজামপুর এবং বড় দারোগারহাট বাজারের মধ্যে দিয়ে চলে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ফলে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অন্যান্য বাজার গুলোর তুলনায় এখানে জনসমাগম কম। তারপর ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস এবং প্রয়োজনের তাগিদে মানুষের চলাচলের রয়েছে। তবে মিরসরাইয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোতে এখনো করোনার প্রভাব তেমন একটা লক্ষণীয় নয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৪নং ধুম ইউনিয়নের মৌলভী বাজার, বাংলা বাজার, ৫নং ওচমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোড অঞ্চল, আজমপুর বাজার,মুহুরী প্রজেক্ট, ৬নং ইছাখালী ইউনিয়নের আবুরহাট বাজার,১৪ নং হাইতকান্দি এবং ১৬ নং সাহেরখালী ইউনিয়নের প্রত্যন্তঅঞ্চল গুলোতে অধিকাংশ দোকানপাট খোলা।অনেক অঞ্চল গুলো উপজেলা প্রশাসনের কোনো নিয়মবিধি মানা হচ্ছে না। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর টহলের সময় জনশূন্য হলেও পরে সেটি স্বাভাবিক হয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে এসময় ফুটবল ম্যাচ খেলতে দেখা যায় অনেককে। সবাই যার যার মতো সময় পার করছেন। চায়ের দোকান গুলোকে আড্ডারত অবস্থায় দেখা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষগুলোকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওচমানপুর ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা জানান, সন্ধ্যার পর পুলিশের টহল শেষে অধিকাংশ মানুষ আজমপুর বাজারের দোকানগুলোতে ভিড় করেন। অনেকে একসাথে বসে লুড়ুও খেলছেন। বিকেলে খেলছেন ফুটবল।

উপজেলার সাহেরখালী অঞ্চলের বাসিন্দা নকিব বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশনা কেউ তোয়াক্কা করছেন না।অনেকেই এদিক সেদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন কোনো প্রকার মাস্ক ছাড়াই।

এই বিষয়ে ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, উপজেলা থেকে প্রত্যকটি ইউনিয়নে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই নির্দেশনা পৌঁছে দিচ্ছি প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন,উপজেলা প্রশাসন থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অবহিত করা হয়েছে। এসময় বলেন সবাইকে আমাদের যার যার জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। সচেতন না হলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সম্ভব নয়।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button