সারাদেশ

স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে সতিনকে হত্যা: এক বছর আট মাস পর ধরা

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় এক বছর আট মাস আগে সতিনকে হত্যার ঘটনায় জড়িত চুমকি দে নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর চুমকি দে’কে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত স্বীকার করেন তিনি।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩ অগাস্ট নতুন ফিশারী ঘাটের চাক্তাই খালে ব্রিজের নিচ থেকে বস্তাভর্তি এক তরুণীর গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ জানতে পারে, ওই নারীর নাম জোসনা আক্তার। এ ঘটনায় একই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর জোসনার স্বামী সুমন দে’কে (৩৩) পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

পরে পুলিশ জানতে পারে, একই ঘটনায় সুমনের আরেক স্ত্রী চুমকি দে’ও জড়িত। তবে ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যায় চুমকি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার এক বছর আট মাস পর বৃহস্পতিবার বাকলিয়া এলাকা থেকে চুমকিকে গ্রেপ্তার করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ। এরপর বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় চুমকি।

জানতে চাইলে বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দীন বলেন, জোসনা ও চুমকি দে দুই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বউকে নিয়ে ছিল সুমন দে’র সংসার। এই ফাঁকে জানা যায় সুমন আরো একটি বিবাহ করেছে। এদিকে তার দুই বউ ও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এক বউ অপরেরটা জানিয়ে দেয় জামাই সুমনকে। সুমন একদিন দুই বউকে পিটুনি দেয়। এতে জোসনার উপর ক্ষিপ্ত হয় চুমকি।

তিনি বলেন, সুযোগ বুঝে জামাই সুমনকে জোসনার বিরুদ্ধে উত্তপ্ত করে চুমকি। আর চুমকিসহ মিলে লাঠির আঘাত এবং বালিশ চাপা দিয়ে জোসনাকে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেয়। গ্রেপ্তারের পর সুমন আদালতে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। সেখানে চুমকির জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button