ময়মনসিংহ বিভাগসারাদেশ

জনবলের অভাবে শেরপুরে ২৫০ বেডের হাসাপাতাল চালু করা যাচ্ছে না

শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: করোনা প্রদুর্ভাব শুরু হলে আতংক ছড়িয়ে পরার পর এখন নেই সেরকম আতংক। তাই মানুষ তাদের দৈনন্দিন চিকিৎসা সেবা পেতে শেরপুর জেলা হাসপাতালে আসলেও জনবলের অভাবে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। ১শ বেডের হাসপাতালকে ২৫০শ বেডের হাসপাতালে উন্নীত করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রায় দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। কিন্তু নানা কারণে এখনও জেলার মানুষ ২৫০ বেডের হাসপাতালের কোন চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। বর্তমানে ২৫০ বেডের হাসপাতালের জন্য ১শ ৭৬ ডাক্তারের মধ্যে আছে মাত্র ২০জন। ডাক্তার সংকট প্রকট ।
শেরপুর জেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে ডাক্তার দেখাচ্ছে রোগীরা। সংগ্রহ করছে টিকিট ও ঔষধ। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আউটডোরের ডাক্তরদের। ৮/৯শ রোগী আউটডোরে আসলেও প্রয়োজনীয় ডাক্তারের অভাবে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না মানুষ। এতে ক্ষুব্ধ তারা।
এছাড়াও প্রতিদিন আড়াইশ থেকে সাড়ে তিনশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকছে। বেড আছে মাত্র ১শ। ফলে রোগীদের দূর্ভোগের শেষ থাকছে না।
১শ বেডের হাসপাতালের জন্য প্রয়োজন ৩৬ জন ডাক্তার আর ২৫০ বেডের হাসপাতালের জন্য প্রয়োজন ১শ ৭৬ জন ডাক্তার। এর মধ্যে শেরপুর জেলা হাসপাতালে আছে মাত্র ২০ জন ডাক্তার। ফলে ডাক্তারের অভাবেই জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শেরপুর জেলা হাসপাতালকে ২৫০শ বেডে উন্নীত করার জন্য ভবন নির্মান করা হয়। ভবন নির্মানের পর প্রধানমন্ত্রী গত প্রায় দুই বছর আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন ও ৯ মাস আগে আনুষ্ঠানিকভাবে আড়াইশ বেডের হাসপাতাল চালু করার ঘোষনা দিলেও তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চালু করা হয়নি।
এবিষয়ে শিক্ষক মদিনা জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২৫০ বেডের হাসপাতাল উদ্বোধন করলেও ডাক্তার সংকটের কারণে আমরা এর সুফল পাচ্ছি না। স্থানীয় নাগরিক রয়েল জানান, আমরা সেবা পাচ্ছি না। ভবন হয়েছে কিন্তু প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও জনবলের অভাবে জেলার চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সাধারণ রোগী হাছনা খাতুন জানান, আমরা লম্বা লাইনে দাড়িয়ে থেকেও কোন চিকিৎসা সেবা পাচ্ছিনা। সেফালী বেগম জানান, করোনার আতংক থাকার পরও আমরা লম্বা লাইনে দাড়িয়ে আছি। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছি না।
হাসপাতালের আরএমও খাইরুল কবীর সুমন জানান, আমরা প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও লোকবলের চাহিদা দিয়েছি। কিন্তু এখনও এর কোন অনুমোদন পাওয়া যায়নি। অনুমোদন পাওয়া গেলে মানুষ ভালো চিকিৎসা সেবা পাবেন।
সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলাবাসীর দাবী সরকার এ বিষয়ে দৃষ্টি দিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button