ধামইরহাটে অবাধ্য স্ত্রী’র পরকিয়ার কারণে আদালতে গিয়ে তালাক দিলেন স্বামী
ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর ধামইরহাটে স্ত্রী’র পরকীয়া ঠেকাতে স্বামী নিরুপায় হয়ে আদালতের মাধ্যমে অবাধ্য স্ত্রীকে তালাক দিলেন। তালাকের খবর শুনে ওই তালাক প্রাপ্ত মেয়ে তার লোকজন নিয়ে সাবেক স্বামীর ঘর-বাড়ী ভেঙ্গে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে করে ওই ব্যক্তির লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির সাধন হয়েছে বলে গ্রামবাসী জানান। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের আগ্রাদ্বিগুন বাজারে।
থানায় অভিযোগ পত্রের মাধ্যমে জানা যায়, উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত. হবিবর রহমানের ছেলে মো. ইউনুছ আলী (৪৮) একই ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আ. সামাদের মেয়ে সুফিয়া বেগমকে ১০ বছর পূর্বে পারিবারিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিবাহ করেন। এই ১০ বছরে তাদের দাম্পত্য জীবনে ২ টি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সংসার চলাকালিন চরিত্রহীন স্ত্রী স্বামীর অগোচরে অন্য পর পুরুষের পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে সুফিয়া বেগম। স্ত্রী’র পরকিয়ার ব্যাপারে গ্রামের মাতব্বরদের নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশী বৈঠক হয়েছে। সেই সব গ্রাম্য শালিশে সন্তানের কথা ভেবে স্বামী ইউনুছ আলী সুফিয়া বেগমকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েই আসছিল। কিন্তু এতে সুফিয়া বেগম চরিত্র না পাল্টিয়ে আবারে একই ভাবে পরকীয়ায় মত্ত হয়ে যায়। স্বামীকে কোন প্রকার গুরুত্ত না দেওয়ায় স্বামী ইউনুছ আলী অসহায় হয়ে দিন যাপন করেন। উপায়ত্ত না পেয়ে এ বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারী স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে আদালতের মাধ্যমে তালাক দেন। সুফিয়া বেগম তালাকের খবর পেয়ে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। সেই সুবাদে ১৯ ফেব্রুয়ারী সকালে ইউনুছ আলীর বাড়িতে সুফিয়া বেগম দলবল নিয়ে হামলা করে নগদ টাকা সোনার গহনা নিয়ে চলে যায়। দাপটের সাথে ঘর-বাড়ি ভাংচুর করে। বদমেজাজি সুফিয়া আবার ২৩ ফেব্রুয়ারী রাত ১১ টায় দাপটের সহিত পুনরায় ইউনুছের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নির্মানাধীন প্রাচীর ভাংচুর করে এবং নির্মাণ সামগ্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিনষ্ট করে দেয়। এতে ইউনুছ আলী জানান, আমার লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
ইউনুছ আলীর বাড়ীতে হামলার ঘটনায় নিজেকের সম্পৃকত্বার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত সুফিয়া বলেন, আমি কোন তালাকের কাগজ পত্র পাইনি, আমার দুই মেয়েকে জমি রেজষ্ট্রি দিয়ে সেই জমি বিক্রির পাঁয়তারা করায় আমি নিজেই বাড়ী ভাংচুর করেছি। এলাকাবাসী জানান, সুফিয়া বেগম একটি চরিত্রহীনা মেয়ে।
ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মমিন জানান, এ ব্যাপারে আজকেই একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।