আসছে আরেক ঘূর্ণিঝড় ‘গতি’

কয়েকদিন আগে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ থেকে সৃষ্টি হয়েছিল ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে যাচ্ছে বলে আভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দফতর। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
শক্তি বৃদ্ধি করে এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে বলেও জানিয়েছে দিল্লির আবহাওয়া অফিস। যদি নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তা হলে তার নাম হবে গতি।
তবে সেই সম্ভাবনা এখনই দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা। দিল্লির আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা মৃতুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নেই। উল্টো বর্ষার আগমনে সুবিধা করে দেবে এই নিম্নচাপ।
কেরালায় বর্ষণ শুরু হয়েছে গত ১ জুন থেকেই। অন্য রাজ্যের দরজায়ও কড়া নাড়ছে বর্ষা। বঙ্গোপসাগরের ওই নিম্নচাপের হাত ধরে আগামী সপ্তাহে ভারতের দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে যেতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবারের মধ্যে নিম্নচাপটি কেমন চেহারা নেবে তা আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে তার জেরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে আগামী সপ্তাহের শুরু থেকেই।
আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, “নিম্নচাপটি কেমন চেহারা নিচ্ছে তা বোঝা যাবে সোমবার। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।”
রাজ্যে প্রায় প্রতিদিনই ঝড়বৃষ্টি লেগে রয়েছে। ঘন ঘন কালবৈশাখীও হয়ে চলেছে। শুক্রবারও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি হয়েছে। এ রাজ্যে পূর্বাঞ্চল হয়ে উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢোকার স্বাভাবিক সময় ৫ জুন।
দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকে ৮ জুন। মৌসুমি বায়ুর অন্য শাখা আন্দামান থেকে মিয়ানমার হয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়ে ঢোকে উত্তরবঙ্গে।
এ বছর স্বাভাবিক হারে বর্ষার পূর্বাভাস রয়েছে। জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বাভাবিক হারে বৃষ্টি হবে। গড়ে ৯৬ শতাংশ থেকে ১০৪ শতাংশ বৃষ্টি হতে পারে ভারতে।
উত্তর-পশ্চিম ভারতের ক্ষেত্রে বৃষ্টি হতে পারে গড়ে ১০৭ শতাংশ, মধ্য ভারতে ১০৩ শতাংশ, দক্ষিণভাগে ১০২ শতাংশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে ৯৬ শতাংশ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর কিছুটা হেরফেরও হতে পারে।