সারাদেশ

নওগাঁয় তিন বছর যাবৎ ব্রীজের নির্মাণ কাজ বন্ধ ॥ দুর্ভোগে কয়েক গ্রামের মানুষ

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে সর্বরামপুর গ্রামে তিন বছর যাবত বন্ধ ব্রীজের নির্মাণ কাজ। এই ব্রীজটি নির্মাণ না হওয়ার কারণে কয়েকগ্রামের মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। এলাকার জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে ব্রীজ নির্মাণের প্রাথমিক কাজ হিসেবে খালের দুই পাড়ে শুধুমাত্র দুটি খাম্বা তৈরির পর রহস্যজনক কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ও উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর এই ব্রীজটির তত্ত্বাবধানে ছিলো। দীর্ঘদিন ধরে এই ফুট ব্রীজের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় ওই এলাকার দুইটি ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের বসবাসরত সাধারণ মানুষসহ স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের রতনডারি খাল পাড় হতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। তবে শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো ও নৌকাই একমাত্র ভরসা এলাকাবাসির।
রতনডারি খালের দুই পাশে অবস্থিত কাশিমপুর ও গোনা ইউনিয়ন পরিষদ। কিন্তু রতনডারি খালের সর্বরামপুর ও ভবানীপুর চৌতাপাড়া নামক স্থানে স্থানীয়রা বছরের পর বছর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করে আসছে। এই সাঁকো দিয়ে সর্বরামপুর, কাশিমপুর, ডাঙ্গাপাড়া, এনায়েতপুর, ভবানীপুর, দূর্গাপুর, গ্রামসহ দুইটি ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের জনসাধারণ চলাচল করে।
সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলা পরিষদের রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রায় ১৯লক্ষ টাকা ব্যয় ধরে কাশিমপুর ইউনিয়নের সর্বরামপুর-ভবানীপুর গ্রাম সংলগ্ন রতনডারি খালের উপর ফুট ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। কাজটির ঠিকাদারী দায়িত্ব পান নওগাঁ সদরের গোলাম কিবরিয়া। দরপত্র অনুসারে শুষ্ক মৌসুমে ওই খালের দুই পাড়ে দু’টি খাম্বা নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু পরে রহস্যজনক কারণে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তিন বছর অতিবাহিত হলেও ব্রীজটি নির্মাণের কাজ আর চোখে পড়েনি।
গোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত খাঁন হাসান বলেন, একটি ব্রীজটি এই এলাকার কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে পারে। কিন্তু সেই দীর্ঘদিনের দেখা স্বপ্ন পূরন হতে চেয়েও পূরণ হলো না। কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগের সমাপ্তি করার লক্ষ্যে আমি বার বার সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন ফল পাই নাই বরং ব্রীজের আংশিক অবকাঠামোও নষ্ট হচ্ছে। তাই অতিদ্রুত ব্রীজটি নির্মাণ করা প্রয়োজন।
উপজেলা প্রকৌশলী মো: শাইদুর ইসলাম মিঞা বলেন, ব্রীজ নির্মাণের জন্য এখনও প্রায় ২৫লাখ টাকার প্রয়োজন। উপজেলা পরিষদের তহবিলে এই পরিমাণ টাকা না থাকায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তাই যে কোন তহবিল থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বরাদ্দ পেলেই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button