সারাদেশ

নীলফামারীতে পূরণ হয়নি বোরো চাষের লক্ষমাত্রা: কমেছে চাষীর সংখ্যা

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: উত্তরের জেলা নীলফামারাতে চলতি বছরে পূরণ হয়নি বরো চাষের লক্ষমাত্রা। গত বছরের তুলনায় চাষীর সংখ্যাও কমেছে। আর এর জন্য চাষের খরচ বৃদ্ধি, ন্যায্য মূল্য না পাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মত কারনে কৃষকদের অন্য ফসল চাষে ঝুকে পড়াকেই দায়ী করছে কৃষক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সুত্রে জানা যায়,দেড়িতে ধান চাষ করায় অন্যান্য জেলায় বোরো মৌসুমের ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শেষের দিকে হলেও নীলফামারী জেলায় সবেমাত্র শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত মাত্র আড়াই শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে বলে জানা গেছে। সারা বছরের চালের চাহিদার যোগান আসে বোরো মৌসুমের ধানের চাষেই। কিন্তু দিন দিন নানা কারনে বোরো মৌসুমে ধান চাষের উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে কৃষক। চলতি মৌসুমে জেলায় ৮৩ হাজার হেক্টোর লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হলেও ৮০ হাজার ৫’শ ৬ হেক্টোর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২ হাজার ৫’ শ হেক্টোর জমিতে স্বল্প সেচের আউশ, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল চাষ করেছে কৃষকেরা। সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের মতিউর রহমান (৪৩) নামের এক কৃষকের কাছে বোরো ফসল চাষ না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই বছরত মুই টাকা-পায়সা ঋণ করি ধান নাগাছিনু। সার, পানি দেওনের খরচা দিয়া যে কনা টাকা পাছো এলাও সেই ঋণ শোধ করির পাও নাই ( গত বছর টাকা-পয়সা ঋণ করে ধান চাষ করার পর সার, পানি সেচের খরচ দিয়ে যে টাকা পেয়েছি তা দিয়ে এখনো ঋণ পরিশোধ করতে পারিনি)। ঠিক একই রকম অভিযোগ করে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের আলতাফ হোসেন (৩৮) নামের এক চাষী বলেন, কম পানি সেচেই ভাল ফলন পাওয়া যায় বলে এবার আমি আমার ২ একর জমিতে আউশ ও ভুট্টা চাষ করেছি। তাছাড়া এই ফসলগুলোর দাম ভাল পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, গত বছর ১ লাখ ৮৬ হাজার কৃষক বোরো চাষ করেছিল চলতি বছরে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে থাকা ১ লাখ ১৬ হাজার বোরোর আবাদ করা কৃষকের নামের তালিকা খাদ্য অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। আরো কিছু নামের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। খাদ্যের চাহিদা পুরনে বোরো ধানের চাষে কৃষকদের সমস্যা সসমাধানের চেষ্টা চালিয়ে তাদের ধান চাষে উৎসাহ বৃদ্ধি করা হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button