রংপুর বিভাগসারাদেশ

নীলফামারীতে মাছের ঘাটতি ৫ হাজার ১৫৭ মেট্রিক টন

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীতে চাহিদার বিপরীতে ৫ হাজার ১৫৭ মেট্রিকটন মাছের ঘাটতি আছে বলে জানা গেছে।
গত বুধবার (২২ জুলাই) জাতীয় মৎস্যসপ্তাহ পালনকালে তথ্যটি জানান জেলা মৎস্যঅফিসার আশরাফুজ্জামান। করোনার প্রাদুর্ভাবে এবারে ভিন্ন আবহে উদযাপিত হচ্ছে মৎস্যসপ্তাহ। আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও “উৎপাদন বৃদ্ধি করি, সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২১ থেকে ২৭ জুলাই আভ্যন্তরিতভাবে নানা কর্মসূচীতে মৎস্যসপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে মাইকিং ও ব্যানার ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রচারণার পাশাপাশি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শণ, মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রয়োগ বিরোধী অভিযান, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, মৎস্যচাষীদের সেবা ও পরামর্শ প্রদান,মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, উপকরণ বিতরণ, হ্যাচারী মালিক ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে জার্ম প্লাজমা বিতরণ এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়।
জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৩৬ হাজার ১৫২ মেট্রিক টনের বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ৩০ হাজার ৯৯৫ মেট্রিকটন মাছ।
জেলা মৎস্যকর্মকর্তার দফতর জানিয়েছে, ঘাটতি পূরণে বিল-নার্সারী কার্যক্রম,উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা অবমুক্তি, ধানক্ষেতে মাছ চাষ,গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের পুকুরে মাছ চাষ, খাচায় মাছ চাষ, মৎস্যঅভয়াশ্রম রক্ষণাবেক্ষণসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, জেলায় ২৯ হাজার ৭২৭ টি পুকুরে ২১ হাজার ৩৮১ মেট্রিকটন মাছ উৎপাদিত হচ্ছে। এসব পুকুরে উৎপাদিত মাছে উল্লেখিত চাহিদায় সংযুক্ত হচ্ছে।
মৎস্যকর্মকর্তা আশারাফুজ্জামান বলেন মাছ চাষীদের বিভিন্নভাবে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। ১০৩৯ জন মাছ চাষীর মাঝে ৯১ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান,জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন প্রকল্প বৃদ্ধির মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে সেবা সম্প্রসারণ ঘটানো হচ্ছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button