রংপুর বিভাগসারাদেশ

পাকা আমের কাঁচা আঁটি সৈয়দপুরে কেমিক্যালে কাঁচা আম হয়ে যাচ্ছে পাকা

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: ফলের দোকান থরে থরে সাজানো এবং ভ্রাম্যমান বিক্রেতাদের ডালি ভর্তি পাকা আম। দামও হাঁকাচ্ছেন বেশ। নির্ধারিত সময়ের আগেই অপরিপক্ব আম সংগ্রহ করে কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে দেদারছে বিক্রি করছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী। স্বাভাবিকভাবে পাকা মনে হলেও আমের আঁটি রয়েছে এখনো কাঁচা । বিক্রেতারা বলছেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা এলাকার গাছপাকা আম এগুলো।
আমের ক্যালেন্ডারের হিসাবে আম বাজারে উঠতে শুরু করবে চলতি মে মাসের ১২ তারিখের পর। আবার আমের আমদানিও বন্ধ রয়েছে। তাহলে এই পাকা আমের উৎস কী?
সরেজমিনে বাজারে বিভিন্ন ফলের দোকানে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায় হলুদ-সবুজ পাকা আম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা বলেন, আড়ত থেকে পাকা আম নিয়ে এসে বিক্রি করছি। সবাই লাভের জন্য বিক্রি করছে তাই আমিও করছি। ক্রেতারাও নিয়ে যাচ্ছে। আমের নাম বলতে না পারলেও তিনি এগুলোকে সাতক্ষীরার বলে দাবি করেন। অন্য এক বিক্রেতা ভারতীয় তোতাহার নামের এক ধরনের আম বিক্রি করছিলেন। তার দাবি সারাবছরই এ আম বিক্রি হয়। শহীদ ডা: জিকরুল হক রোডের এক ফল দোকানীর থেকে পাকা আম কিনছিলেন শহরের ইসলাম বাগ এলাকার গৃহিনী লায়জু আকতার । তিনি বলেন,রোজার মাস। বাজারের নতুন ফল। বাচ্চারা খেতে পছন্দ করে তাই কিনলাম। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আলেমুল বাশার বলেন, যদি কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো হয় তাহলে যারা এ আমগুলো কিনে খাচ্ছেন তারা মারাত্বক স্বাস্থ্যঝুকিতে পড়তে পারেন।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, দেশের কোথাও আমের চূড়ান্ত ফলন শুরু হয়নি। কিছু কিছু গাছে দুয়েকটি আম পাকতে শুরু করেছে। যে পরিমাণে আম পাকছে, তা কেবল পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মেটানোর উপযোগী। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রমিজ আলম বলেন, বাজার মনিটরিং করা হবে । কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আম পাওয়া গেলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button