রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

বড়াইগ্রামকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত মডেল ইউনিয়ন করতে চান আলতাফ মাহমুদ

বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ঘোষনা দিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আলতাফ মাহমুদ বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদপার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশি ব্যক্তি ও পারিবারিক ইমেজ, দলের নিবেদিত দীর্ঘদিনের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে তার বেশ পরিচিতি রয়েছে। তাই দল থেকে তাকে মনোনয়ন দিলে সহজে জয় পাবার আশা করছেন নবীন-প্রবীণ ভোটাররা। জানা গেছে,তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও তৎপরতার মধ্যে দিয়ে ছাত্র সমাজে নিজের আসন পাকাপোক্ত করে নিয়েছন। তার রাজনৈতিক মেধা, প্রজ্ঞা ও নিরলস শ্রমের মাধ্যমে তৃণমূলের মধ্যে তিনি একটি শক্ত ভীত গড়ে সক্ষম হয়েছেন আলতাব মাহামুদ, জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সেবামূলক কর্মকান্ডসহ নানা সমাজ-সংস্কারমূলক কর্মকান্ড করেছেন যা ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। অনুরূপভাবে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সেবাসহ বহু সামাজিক, শিক্ষা ও ধর্মীয় কর্মকান্ডে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিত্বের সাথে তার সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন বাসীর হৃদয়ের মণিকোঠায় উচ্চাসনে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি ছাত্র-রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি। রাজনীতির প্রতিটি শাখায় তার সরব উপস্থিতি সকলের দৃষ্টি কেড়েছে। এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে এবং মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করে যুবসমাজকে সুসংগঠিত করতে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ইতিমধ্যে সে যুব সমাজের মধ্যে তার অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় রাজনীতিতে তার ভূমিকা রাখতে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও দেশরতœ শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্মসূচিকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর সময় অনেকে যখন নিজের ও পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যস্ত তখন আলতাফ মাহমুদ নিজের সুরক্ষার কথা বিবেচনা না করে জনগণের কথা বিবেচনায় প্রান্তিক জনগণের মাঝে ত্রাণ ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে মানবসেবায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আলতাফ মাহমুদ আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইতোমধ্যে তিনি ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন। গণসংযোগসহ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ভোটাররা রাজনীতির মাঠের পরীক্ষিত তরুণ সুদর্শন নেতা আলতাফ মাহমুদ কে পেয়ে ব্যাপক সাড়া দিচ্ছেন। তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই মানুষের সবর উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। রাজনীতিকে মানবসেবার ব্রত হিসেবে মনে করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলতাফ মাহমুদ। তিনি মনে করেন, সাধারণ মানুষের সেবার জন্যই রাজনীতি। তিনি দলের কর্মী ছাড়াও নিজ এলাকায় করোনাকালীন সময়ে অসহায় মানুষের সহযোগিতায় হাতটি বাড়িয়ে সবসময় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চেষ্টা করে চলেছেন। মানুষের পারিবারিক ও সামাজিকসহ নানা সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এই প্রচেষ্টাকে আরো প্রসারিত করতে তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ১৯৯৪ সালে তার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসাবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেছিলেন আলতাফ মাহমুদের। ১৯৯৫ সালে বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়। ২০১২ সালে বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন অদ্যবধি নিষ্ঠার সাথে সকল দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আলতাফ মাহমুদ বলেন, আমার নিজস্ব কোন চাওয়া-পাওয়া নেই। মানুষের একজন সেবক হয়ে কাজ করতে চাই। মানব সেবাই পরম ধর্ম আর আমি সেটা করতেই ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকবো ইনশাআল্লাহ। তিনি আরো বলেন, বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুরে রূপকার বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপির অনুপ্রেরণায় ‘আমি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। সেই থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করেছি।’ জীবনের দীর্ঘপথে অনেক বাধা-বিপত্তি, দুঃসময় ও কষ্ট সহ্য করেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র পিছপা হয়নি। দল এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের বাহিরে যাইনি। এখন সময় এসেছে দল থেকে মূল্যায়িত হওয়ার। সব কিছু বিবেচনায় আমি নিশ্চয়ই মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য দাবিদার। আশা করি প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনা এবং দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আমাকে মূল্যায়ন করে মনোনয়ন দিয়ে ২নং বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন বাসির সুখে দুঃখে বিপদে-আপদে পাশে থাকার সুযোগ করে দিবেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button