রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

বড়াইগ্রামে শেষ মূহুর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরি শিল্পীরা

নাটোরের বড়াইগ্রামে করোনা মহামারির মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পুজা। আর মাত্র কয়েক দিন মাত্র বাঁকি শারদীয় দূর্গা পুজার। দূর্গা পুজাকে সামনে রেখে বড়াইগ্রাম উপজেলার পূজা মন্ডপ গুলোতে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময়পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা। এবছর বড়াইগ্রাম উপজেলায়৪৯টি মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী ধীরেন্দ্র নাথ সাহা ,তিনি আরো জানান বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ থেকে ২৫ টি ,এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১১টি নির্দেশনা আমাদেরকে দিয়েছেন। আমরা ৪৯ টি মন্ডপে সেগুলো পৌছে দিয়েছিপুজা উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে মন্দির গুলোতে চলছে সাজসজ্জার প্রস্তুতি। ইতি মধ্যে বেশির ভাগ মন্ডপে প্রতিমায় মাটি লাগানোর কাজ প্রায় শেষ।কিছু কিছু মন্দিরে শুরু হয়েছে রং তুলির কাজ। আগামী ২২-২৬ অক্টোবর ৫ দিন ব্যাপী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয়উৎসব শারদীয়দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় শিল্পী ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিল্পীরা এখানে এসে প্রতিমা তৈরি ও রং তুলির কাজ করছেন। অন্যদিকে প্রতিমার পাশাপাশি বাদ্যযন্ত্র ঠিক ও তৈরী করতে ব্যস্ত সময় পার করছে ঢাক-ঢোল, কাঁশি ও বাঁশির কারিগররা। মাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুুতি নিচ্ছেন সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। প্রতিমা শিল্পী মিন্টু হাওলাদার জানান, প্রতিমার মাটি শুকালেই শুরু হবে রং তুলির আঁচড়। প্রতিমাগুলো মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছি । আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে সকল প্রতিমা তৈরীর কাজ। দিয়ারপাড়া শ্রীশ্রী ব্রম্মা মন্দিরের সভাপতি শরৎ চন্দ্র পাল জানান,করোনা পরিস্থিতির কারনে । নির্দেশনা অনুযায়ী পুজা অনুষ্ঠানে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনারুল ইসলাম বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়দূর্গা পুজায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্দির গুলোতে নিরাপত্তাসহ শান্তিপূর্ন ভাবে উৎসব সমাপ্ত করার লক্ষে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সামাজিক দুরুত্ব এবং আইনশৃংখলা ঠিক রাখতে প্রত্যেক ইউনিয়ন একজন এস আই এর নেতৃত্বে প্রতিটি মন্দিরে পুলিশের পাশাপাশি আনছার ও গ্রামপুলিশ মোতায়েন থাকবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বৈশিক করোনা পরিস্থিতির কারনে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের পুজা একটু ভিন্ন ভাবে পালিত হবে। আশা করছি সরকারী নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে পুজা অনুষ্ঠিত হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button