খুলনা বিভাগসারাদেশ

ভাঙ্গায় প্রেমের টানে ঘর ছাড়া নারী ভাঙ্গায় বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে ৩ সন্তানের জননীর অনশন

ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধিঃফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিয়ের দাবীতে ৩ সন্তানের জননী প্রেমিকের বাড়িতে ২দিন যাবৎ অনশন করছেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের পল্লীবেড়া গ্রামে। গত ২ দিন যাবৎ ওই গ্রামের এলেম মাতুববরের মেয়ে মাকসুদা বেগম(৩৫) বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিক ৩ সন্তানের জনক একই গ্রামের প্রতিবেশী এমদাদুল মাতুব্বরের বাড়ির উঠানে মাদুর পেতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে প্রেমিক পুরুষ এমদাদুল প্রেমিকা মাকসুদা বাড়িতে এসে অনশন শুরুর পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে ওই বাড়িতে লোকারন্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রেমিকা মাকসুদার ১৬ ও ১২ বছর বয়সী ২টি ছেলে ও ২ বছর বয়সী ১টি মেয়ে সন্তান রয়েছে। অপরদিকে এমদাদুলেরও ১৭ ও ১৩ বছর বয়সী দুটি ছেলে ও ৯ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।প্রেমিকা মাকসুদা ও তার পরিবার জানান দীর্ঘ্যদিন যাবৎ তার সাথে(এমদাদুল) প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এক পর্যায়ে তাকে বিয়ে করে স্ত্রীমর্যাদা দিবে এমন প্রলোভনে তার সাথে এমদাদুল স্বামী-স্ত্রীর মত আচরন করতে থাকে। গত এক বছর পূর্বে তার ন্বামী মারা যায়্। এ সুযোগে তার মধ্যে ও প্রেমিক (এমদাদুলের) সাথে সম্পর্ক গভীর হয়ে উঠে এবং বিভিন্ন জাযগায় যোগাযোগের মাত্রা বেড়ে যায়। সম্পতি তাকে বিয়ের জন্য এমদাদুলকে চাপ প্রয়োগ করলে সে নানা ছলচাতুরী শুরু করে। এক পর্যায়ে প্রেমিক এমদাদুল তাদের মধ্যে গড়ে উঠা সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে। তাই বাধ্য হয়ে এখানে এসে অনশন শুরু করেছি।দাবী মানা না পর্যন্ত অনশন চলবে। সকালে ওাই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় প্রেমিকা মাকসুদা বাড়ির মেঝেতে মাদুর পেতে বসে আছে। এলাকার শতশত উৎসুক লোক ভীড় করছে। বাড়ির বয়োজেষ্ঠ আঃ মোতালেব মাষ্টার বলেন, প্রেমের দাবী নিয়ে মহিলাটি অনশন করছে। বিষয়টিকে সামাজিকভাবে মীমাংমার চেষ্টা চলছে। তবে অভিযুক্ত এমদাদুল মাতুব্বরের স্ত্রী বলেন পুরো বিষয়টি বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। অভিযুক্ত ্এমদাদুলের ভাই ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন.আমরা সামাজিকভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্ঠা করছি। এদিকে কাউলীবেড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত দুদু মিয়া জানান, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়েছি। দুই পক্ষই আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে এসেছে। আমি দু,পক্ষের সম্মতিতে বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করছি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button