রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

ভোলাহাটে প্রকৌশলীকে লাঞ্চিত করায় গ্রেফতার ৪

ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ ভোলাহাট উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী মোঃ সাজেদুল ইসলামকে অফিস কক্ষে লাঞ্চিত করার ঘটনায় মামলা দায়ের ৪ জন গ্রেফতার ।
১২ এপ্রিল মঙ্গলবার ৩ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২জন দূর্বৃত্তকে আসামী করে প্রকৌশলী মোঃ সাজেদুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে দ্রুত এজাহার নামীয় ২জন মোঃ মোরশালিন (২৩), মোঃ শিবলু তোতা মিয়া ( ২৫), অজ্ঞÍনামা উপজেলার আদাতলা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মোঃ জহিরুদ্দিন রুবেল(২২) ও গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরের মৃতঃ শমসের আলীর ছেলে মোঃ সোহেল রানা(৩৫)কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশে ৩টি জলমহালের তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জলমহালের কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ১১ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করায় ক্ষিপ্ত হয়ে অফিস চলাকালীন সময়ে ১২ এপ্রিল দুপুর ১:১০ দিকে অফিস কক্ষে বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ অনধিকার ভাবে পোল্লাডাঙ্গার উলাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ নাসিম হোসেন (৩০), বীরেশ্বরপুর গ্রামের মোঃ দুরুল হুদার ছেলে মোঃ মোরশালিন (২৩), ভোলাহাট ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্বের মৃত দুদু মিয়ার ছেলে মোঃ শিবলু তোতা মিয়া (২৫), সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের একটি দল অফিস কক্ষে প্রবেশ করে আমাকেসহ আমার অফিসের অন্যান্য কর্মচারিদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমিসহ অফিসের অন্যান্য কর্মচারিগণ মিলে তাঁদের গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বল প্রয়োগ পূর্বক বলে যে, জলমহালের তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের পক্ষে কেন গেল না?
এ সংক্রান্তে বিভিন্ন উদ্ভট কথাবার্তা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে দূর্বৃত্তদের সাথে কথা কাটাকাটি ও বাক-বিতর্ক শুরু হয়। কথা কাটাকাটি ও বাক-বিতর্কের সময় দূর্বৃত্ত মোঃ নাসিম হোসেন আমার পরিহিত শার্টের কলার ধরে টানা হেঁচড়া শুরু করে। একপর্যায়ে এলোপাথাড়ী ভাবে কিল ঘুষি মেরে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করেন এবং অফিস চলাকালীন সময়ে সরকারী কাজে বাধা দান করে। আসামীগণ আমাকেসহ অফিসের অন্যান্য কর্মচারিদের হুমকিসহ ভয়ভীতি প্রদান করে বলেন, জলমহালের তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের পক্ষে গেল না কেন? এই বলে আসামীগণ হৈচৈ করে অফিস কক্ষের টেবিলে থাকা কাগজপত্রসহ চেয়ার, টেবিল এলোমেলো করে চলে যায়।
এঘটনায় ইফতারের পর ভোলাহাট উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে সকল কর্মকর্তাগণ সভা করে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে অর্ফিসাস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ কাউসার আলম সরকার জানান।
ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, এঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জনকে দ্রুত আটক করতে সক্ষম হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাঁকি দায়িদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button