শেরপুরে অপহরণ ও প্রতারণার ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলসহ গ্রেপ্তার ৪
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে নকল স্বর্ণের মূর্তি বিক্রির নামে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতে এসে অপহরণ হওয়া শামিম নামের প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সাথে অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্যকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদেরমধ্যে সদ্য বরখাস্ত হওয়া পুলিশের একজন কনস্টেবলও রয়েছেন। তারা হলেন- উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর কলোনি গ্রামের বাসিন্দা বরখাস্তকৃত পুলিশ কনস্টেবল শিলু মিয়া (৩০), একই ইউনিয়নের মহিপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেন (৪১), মামুনুর রশিদ (২৬) ও ধুনট উপজেলার নাটাবাড়ি গ্রামের প্রতারক শামিম হোসেন (৩৮)। গ্রেফতারকৃতদের সোমবার (২২মার্চ) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত রবিবার (২১মার্চ) সকালের দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গাড়ীদহ বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেন।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। এছাড়া নানা অপরাধ কর্মকা-ের সঙ্গেও জড়িত। এরই ধারাবাহিকতায় শামিম নকল স্বর্ণের মূর্তি দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে মোশারফের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী নকল স্বর্ণের মূর্তি নিয়ে শেরপুরের গাড়ীদহ দশমাইল এলাকায় আসেন। কিন্তু তার কথায় সন্দেহ তৈরী হয়। পরে শামিমকে অপহরণ করা হয়। ওই এলাকার একটি বাড়িতে আটকে রেখে তার পরিবারের কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে ভাই লিমন এলে তাকেও আটকে রাখা হয়। গোপনে ঘটনাটি পুলিশ জানতে পেরে চক্রটিকে ধরতে অভিযানে নামে। একপর্যায়ে গাড়ীদহ ও বনমরিচা এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজতে থাকা একটি নকল স্বর্ণের মূর্তি, একটি মোবাইল ফোন সেট, একটি ব্লেড, মোবাইলের নয়টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, শামীমকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর শামীমের নিকট নকল স্বর্ণের মূর্তি ও মোবাইলের সীমকার্ড রাখার বিষয়ে সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় ৫৪ ধারায় মামলা রুজু করে তাকেও আদালতে পাঠানো হয়েছে।