শেরপুরে স্ত্রীর ওপর অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যা
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে স্ত্রীর ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস নিয়ে আব্দুল মোমিন (২৪) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। গতকাল শনিবার (০৩জুলাই) দুপুরে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের বাংড়া গ্রামস্থ বসতবাড়ির নিজ শয়নকক্ষ থেকে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত আব্দুল মোমিন ওই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিগত আট মাস আগে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের মাগুরাতাইর গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে মোছা. নুরজাহান খাতুনকে বিয়ে করেন আব্দুল মোমিন। বিয়ের পর এক মাস যেতে না যেতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে তাদের বনিবনাত না হওয়ায় স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে যান স্ত্রী নুরজাহানা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বৈঠক করা হলেও সমঝোতা করা সম্ভব হয়নি। এরপরও স্ত্রী নুরজাহানকে নিয়ে সংসার করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করেন স্বামী মোমিন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালের দিকেও স্ত্রীকে তার বাড়িতে আনার জন্য শ^শুরবাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তার সঙ্গে আসতে অস্বীকার করায় স্ত্রীর ওপর অভিমান করে এদিন সকাল আটটার দিকে নিজ শয়নকক্ষের তীরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরে ঘরের মধ্যে আব্দুল মোমিনকে ঝুলতে দেখে থানায় সংবাদ দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন।
তবে নিহতের স্ত্রী নুরজাহান খাতুন বলেন, বিয়ের রাত থেকেই তার মধ্যে পাগামি ভাব লক্ষ্য করা যায়। এমনকি কোনো কারণ ছাড়াই প্রচ- রেগে যেতেন এবং অশ্লীলভাষায় গালিগালাজসহ বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো। তাই বিয়ের পর মাত্র একমাসেই স্বামীর নানা পাগলামি কর্মকা-ে অতিষ্ঠ হয়ে বাবার বাড়ি চলে যান তিনি।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, নিহত যুবকটি মানষিক রোগে আক্রান্ত ছিল। তাই পরিবারের সদস্যদের ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।