রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

সংখ্যায় ধুনটে হালখাতা আর কিস্তির বিপাকে সাধারন মানুষ

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: সাধারন মানুষ, অর্থের যোগান নেই, লকডাউনে থেকে মুলধন শেষ, চোখে লোনা জল, ঘাড়ে হাত রেখে পরিবারের ছোট সন্তানের আবদার, গিন্নির হাড়ি চড়ানোর জন্য কাঁচাবাজারের তাগিদ, মাথায় ঋণের বোঝা। পরিবারের নানা চাহিদা মাথায় নিয়ে নির্বাক বসে থাকা মানুষকে কি পুরুষ বলা যায়? এমনই অপ্রকাশিত উক্তি গুলো অনেকের মনের ভীতর ডুকড়ে ডুকড়ে উঠছে। হঠাৎই লকডাউন সীমিত হওয়ার পর সাধারন মানুষের ঠিকমত গুছিয়ে না উঠতেই এনজিওদের কিস্তির চাপ। চারিদিকে হতাশা আর হতাশার অনলে নিরবে নির্জনে ভেজা চোখ।

লকডাউন শীথিল হওয়ার পর শুরু হয়েছে গ্রাম বাংলার হালখাতা ও ঋন গ্রহীতাদের কাছ থেকে এনজিও কর্মীদের টাকা সংগ্রহ। হালখাতার পাশাপাশি হঠাৎই এভাবে কিস্তি নিতে আসায় বিপাকে পড়েছে সাধারন ঋণ গ্রহীতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, আমরা তো তেমন নিয়োম কানুন মানিনা। যেহেতু এনজিও কর্মীরা এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে কিস্তির জন্য যাতআত করে সেহেতু তারা তো নিরাপদ নয়ই বরং সাধারন মানুষও নিরাপদ নয়। টাকার মাধ্যমে, পন্যের মাধ্যমে বা একে অপরের সাথে কথা বলার সময় হাঁছি কাশির মাধ্যমে এ ভাইরাস দ্রুত বিস্তার লাভ করতে পারে।

গ্রামের সাধারন মানুষ সচেতনতার দিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে থাকে। গ্রামের শ্রমজিবী মানুষ সবসময় কাজে ব্যাস্ত থাকায় প্রায় সময়ই তারা ক্লান্ত শরিরের মুখ, নাক, চোখসহ বিভিন্ন স্থানে হাতদিয়ে স্পর্শ করে। করোনা কালীন সময়ে বাজার বন্ধ থাকায় গ্রামের সাধারন মানুষ খাদ্য শষ্য ক্রয় বিক্রয় ও ব্যবসা করতে পারেনি। লকডাউন শিথিলের পর হঠাৎই গ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন এনজিও কর্মীরা কিস্তির টাকা নিতে আসায় সাধারন মানুষের মাথায় হাত পড়েছে। কিস্তি পরিশোধ করার চাপ আর ব্যবসায় কেনা বেচা না থাকায় অর্থ সংকটের মাঝে মানসিক চাপে রয়েছে উপজেলার গ্রাম বাংলার হাজার হাজার সাধারন মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঋন গ্রহীতা জানায়, গত ২ সপ্তাহে এনজিও কর্মীদের সাথে ঋন গ্রহীতা সাধারন মানুষের বাকবিতন্ডা দেখেছি। ঋণ গ্রহীতারা আজ নিরুপায়। করোনা কালীন সময়ে সরকারের এ বিষয়ে দৃষ্টি দেয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকেই।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button