রংপুর বিভাগসারাদেশ

সৈয়দপুরে যাত্রী পরিবহনে সরকারি নির্দেশনা মানছে না গণপরিবহন সিএনজি-অটোরিকশা

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: বাংলাদেশে ২য় পর্যায়ে  করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় সরকার  ১৮ দফা  নির্দেশনা জারি করেছে। বুধবার (৩১ মার্চ)  ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত মেনে বাস ও ট্রেন যাত্রী পরিবহন  করলেও সরকারি নির্দেশ মানছে না  নীলফামারীর সৈয়দপুরে গ্রামীণ  গণপরিবহন খ্যাত  সিএনজি-অটোরিকশা। সরেজমিনে গিয়ে  দেখা যায়, উপজেলা থেকে দূরপাল্লার বাস ও আন্তঃনগর ট্রেন সরকারি নির্দেশ মেনে অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহন করলেও সিএনজি, ব্যাটারিচালিত ভ্যান কিংবা  অটো  রিকশায় গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় প্রায় দেড় হাজার অটোরিকশা  ও সিএনজি যাত্রী পরিবহন করে থাকে।  ছোট ছোট এসব গণপরিবহনে ৮/১৫জন যাত্রী চাপাচাপি করে যাত্রা করে।   নীলফামারী সদরের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা রংপুর ও দিনাজপুরের  সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করছে এসব পরিবহন। চালক বা যাত্রী কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।

অটোচালক আনিছুর রহমান বলেন, মাস্ক পকেটে আছে। প্রয়োজন হলে ব্যবহার করবো। যাত্রীরা আগের ভাড়াই পরিশোধ করায় আগের মতোই যাত্রী পরিবহন করছি। আতিকুল ইসলাম  নামে একজন যাত্রী বলেন, মাস্ক ভুল করে বাসায় রেখে এসেছি । ভাড়া কম তাই ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এভাবে অটোরিকশায় যাতায়াত করতে হচ্ছে।

অপর একজন যাত্রী শাপলা রানী   বলেন, দূরপাল্লার বাস বা আন্তঃনগর ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। কিন্তু সেই ট্রেন বা বাস থেকে নেমে গন্তব্যে যেতে কিংবা বাসা থেকে ওই সব যানবাহনে উঠতে গ্রামীণ গণপরিবহন ব্যবহার করতে হচ্ছে। এসব পরিবহনে মোটেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। সরকারের উচিত এসব গ্রামীণ গণপরিবহনেও শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যবস্থা করা। অন্যথায় ভয়াবহতায় রূপ নেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান জানান,  গণপরিবহন বলতে যাত্রী পরিবহনের যেকোনো যানবাহনকে অবশ্যই সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে হবে। গ্রামীণ গণপরিবহনকেও এ বিধি মেনে চলতে হবে। এজন্য আমরা কাজ শুরু করেছি। এটা সফল করতে অভিযান চালানো হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button