রাজশাহী বিভাগ

রবি শষ্য চাষসহ জীবিকার উৎস এখন খালের পানি

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি: প্রায় ২০ বছর পর পুনঃখননকৃত খালের পানি-ই এখন অসহায় কৃষকের জীবিকার উৎস হয়েছে দাড়িয়েছে। চাষাবাদ হচ্ছে রবিশষ্যসহ বিভিন্ন ফসল। ওই খালের পানিতে গৃহপালিত প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন হচ্ছে।
নওগাঁর ধামইরহাটে টুটিকাটা পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি’র আওতায় এলজিইডির তত্বাবধানে টেকসই ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরে ৩.১ কিলোমিটার খাল পূনঃখনন করা হয়। খননের পরে আশীর্বাদ হিসেবে খালে জমতে শুরু করেছে পানি। খালের ওই পানি দিয়ে কৃষকরা তাদের জমিতে বিভিন্ন সবজি জাতীয় রবিশষ্য চাষাবাদ করতে পারেন। এখানে মাছ শিকার করে অনেকে সংসারে চাহিদা কিছুটা হলেও মেটাতে পারছেন।
খালের পানি দ্বারা উপকৃত গাংরা গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও জাইদুল ইসলাম জানান, তারা খালের জমানো পানি দিয়ে পাট, ঢেড়স, করলা, শসা, পুইশাক, লালশাক ও খিরা চাষ করছেন। এতে তাদের জীবিকা নির্বাহের পথ সুগম হয়েছে। এই পানি দিয়ে তারা অনেক সময় ধান চাষও করতে পারেন। খরিপ মৌসুমে এই খালের পাড়ে মাল্টা, পিয়ারা ও লেবু বাগান করতে সক্ষম হয়েছেন বলে অপর কৃষক আমিনুর রহমান জানান।
এছাড়াও খাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মোজাফফরের ছেলে নুরুজ্জামান বলেন, টুটিকাটা খালেই আমি দেশীয় প্রাজাতির হাঁস লালনপালন করছি। এগুলো আর ২ মাস পর ডিম দিতে শুরু করবে এবং প্রতিটি হাঁস সাড়ে ৩ শ’ টাকা থেকে ৪শ’ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব হবে।
টুটিকাটা পাবসস লিঃ এর সভাপতি মোতারব হোসেন জানান, তাদের এই খালের দুই পাড়ে তারা সামাজিক বনায়ন করেছেন, যা প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করছে, অপরদিকে সদস্যরা আর্থিক ভাবে উপকৃত হবেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলী হোসেন বলেন, গ্রাম পর্যায়সহ বিভিন্ন এলাকায় যে সকল খাল খনন বা পুনঃখননযোগ্য সে সব খালগুলো খনন করে কৃষির প্রসার বৃদ্ধি, দরিদ্র মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। করোনাকালে এ উপকার তাদের চরমভাবে জীবিকা উন্নয়নের জন্যে সহযোগী হয়েছে।’

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button