রংপুর বিভাগ

ঈদের দিনেও বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় ঘরে বসে আনন্দ উপভোগ থেকে বঞ্চিত সৈয়দপুরবাসী

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি; নীলফামারীর সৈয়দপুরে লোভল্টিজ এবং ঘনঘন বিদ্যুৎয়ের যাওয়া আসায় অনেক বাড়ি এবং কল-কারখানায় যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। ঈদের দিন যাওয়া আসার মাত্রাটা আরো বেড়েছে। এতে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।
আজ সোমবার সকাল থেকেই কয়েক মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ আসার পর আবার কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত চলছে লোডশেডিং। তাই অনেক বিদ্যুৎ গ্রাহকই ওই যাওয়া আসাকে লুকোচুরি খেলা বলছে। জানা যায় সম্প্রতিকালে করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সারাদেশে বড় বড় কলকারখানা বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎয়ের চাহিদা অনেকটাই কম। কিন্তু ওই উপজেলাতে বেশ কিছুদিন যাবত প্রতিদিনই ঘন ঘন লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। এতে করে গ্রীস্মকালের এই চরম গরমে লোকজনের জীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এই ঘন ঘন লোডশেডিং আর লোভল্টিজের কারনে অনেকেরই বাড়িতে থাকা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং কলকারখানার মূল্যবান মেশিন নষ্ট হয়েছে।
এ ব্যাপারে শহরের ইসলাম বাগ এলাকার এক শিক্ষিকা মমতাজ বেগম বলেন, গতকাল বিদ্যুৎ না থাকায় আমার ছোট্ট শিশু গরমে সারা রাত ঘুমাতে পারেনি।
শহরবের নতুন বাবুপাড়া এলাকার তসলিমা নামের এক গৃহিনী বলেন, লোভল্টিজ আর ঘন লোড শেডিং দেওয়ায় দু’দিন আগে আমার বাসার ফ্রিজ ও ফ্যান নষ্ট হয়ে গেছে। ইসলাম বাগ শেরু হোটেল এলাকার মতিয়উর রহমান নামের এক যুবক বলেন বর্তমান পরিস্থিতি এমন গাছের পাতা সামান্য নড়াচড়া করিলেই বিদ্যুৎ অফ হয়ে যাচ্ছে। ঈদের দিনও সকাল থেকেই বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছে। আজকের দিনে অন্তত বাসায় একটু আরাম করব তারও উপায় নেই। শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের (রংপুর রোড) আজিজুর রহমান নামের এক ইঞ্জিনিয়ার্স ফ্যাক্টরির মালিক বলেন, রমযান মাসের প্রথম দিকেই লোডশেডিং এর কারনে আমার ফ্যাক্টরির মূল্যবান এক মেশিন নস্ট হয়ে পড়ে আছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মেরামত করতে না পাড়ায় উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে।
ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারন সমন্ধে উপজেলার বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী ( আবাসিক) বলেন বিদ্যুৎ সঞ্চালনের একটি গ্রীডে কারিগরি ত্রুটি থাকায় সাময়িকভাবে এই সমস্যা হচ্ছে। খুব শিঘ্রই সমস্যা সমাধান হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button