রংপুর বিভাগ

সৈয়দপুরে ঈদের দিনে অগ্নিকান্ডে পুরো এলাকাকে ভয়াবহ ক্ষতি থেকে রক্ষা করল রেলওয়ে জলাধার

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঈদের দিনে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পুরো এলাকাকে ভয়াবহ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করেছে রেলওয়ের তৈরি জলাধার।
ওই দিন দুপুরে শহরের মিস্ত্রিপাড়া বটগাছ এলাকায় রেলওয়ের তৈরি জলাধারের পানির ব্যবহার করেই অগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
জানা যায় ওই এলাকার রনি নামের একজনের রেলওয়ে বাসা শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সুত্রপাত হয়। ঈদে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ায় ওই বাসা তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। আগুন দেখতে পেয়ে এলাকার লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পাশেই ছিল রেলওয়ে এক জলাধার যেখানে ওয়াটার পাম্পের মাধ্যমে পানি সরবারাহ করে মাছ চাষ করছেন পারভেজ নামের এক অবসর প্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য। তিনিও মুহুর্তেই ছুটে এসে ঘিরে রাখা জলাধারের দরজা খুলে দেন।তিনি খবর দেন ফায়ার সার্ভিস অফিসে। তিনিসহ এলাকার লোকজন ওই জলাধারের পানি ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাতে থাকেনন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ওই জলাশয়ের পানি ব্যবহার করেই আগুন নিয়িন্ত্রনে আনেন।
এ ব্যাপারে অবসরপ্রাপ্ত ওই সেনা সদস্য বলেন, রেলওয়ে ওই জলাধারটি পরিত্যাক্ত হয়ে নোংরা-আবর্জনা দিয়ে ভর্তি থাকায় আমি রেলওয়ের অনুমতি নিয়ে সেখানে পরিবেশ সৃষ্টি করে পানি ভর্তি করে মাছ চাষ করছি। প্রতিদিনই আমাকে ওই জলাধারে মেশিনের মাধ্যমে পানি সরবারাহ করতে হয়। আগুন দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিয়ে এলাকার লোকজনকে নিয়ে ওই পানি দিয়েই আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়ি।
রেলওয়ে সূত্র জানায় ব্রিটিশরা রেলওয়ে এই শহরের প্রতিটি এলাকায় অগ্নিনির্বাপনের জন্য জলাধার তৈরি করে। কিন্তু লোকবল কমে যাওয়ায় বসাবাড়িতে রেলওয়ের লোক না থাকায় জলাধারগুলো পূর্বের অবস্থায় আর নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার বলেন, যদিও আগুনে ৯ টি বাসা পুড়েছে কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা এত বেশি ছিল যে যদি সময়মত ওই জলাধারের পানি পাওয়া না যেত তাহলে পুরো এলাকাতেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এর চেয়ে আরো বেশি মারাত্বক ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা ছিল। মুহুর্তেই আশে-পাশে ছড়িয়ে পড়ে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button