জাতীয়

এবার সরকারি চাকরিজীবীদের গ্রামে যাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা

সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে সরকারি চাকরিজীবীদের গ্রামে যাওয়া নিষিদ্ধ করল সরকার। বৃহস্পতিবার সচিব এবং বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া সকল জেলা প্রশাসনকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহভাজনদের হোম এবং অফিস কোয়ারেনটাইনে অবস্থান নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার থেকেই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। দর্শনার্থী প্রবেশে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কোন পাস ইস্যু করা হচ্ছে না। সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রাজিব দাস এ তথ্য জানান।

রাজিব দাস বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, সচিবালয়ে মিটিংয়ে আগত ব্যক্তি এবং সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।’

সচিবালয়ের যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব ও সিনিয়র সচিবরা প্রতিদিন ৫টি করে পাস ইস্যু করতে পারেন। মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর একান্ত সচিবরা পাস ইস্যু করতে পারেন।

সচিবালয়ে এক ও দুই নম্বর গেইটের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে হয়। সকাল ১১টার দিকে দর্শনার্থী কক্ষে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে প্রচুর দর্শনার্থীদের ভিড়। কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে অবস্থা নিয়েছেন।

কাউকে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা ছাড়া প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এতদিন শুধু দর্শনার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকদেরও তাপমাত্রা মেপে প্রবেশ করানো হচ্ছিল। দর্শনার্থী কক্ষে নোটিশও সাটানো হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে- কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস এর জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সচিবালয়ের অভ্যন্তরে সাধারণ দর্শনার্থী পাস সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।

সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, সচিবালয়ে কর্মরত মন্ত্রী, সচিব থেকে শুরু করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন। অফিসে এসেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করছেন।

ইতোমধ্যেই বিশ্বের অন্তত ১৬৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। দেশে এখন পর্যন্ত ১৭ জনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর)।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button