জাতীয়

করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিটি ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে এই প্রথম একজন ব্যাংক কর্মকর্তা মারা গেছেন। তিনি বেসরকারি সিটি ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগে এফভিপি ছিলেন।

রোববার সকালে ঢাকার মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে বলে সিটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, কয়েকদিন ধরে ওই কর্মকর্তা সর্দি-কাশি এবং জ্বরে ভুগছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শে দুই বার তিনি নমুনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন। তবে দুবারই ‘নেগেটিভ’ আসে। চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।

তিনি করোনাভাইরাসের রোগী ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ বিষয়ক টিমের ফোকাল পার্সন সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান।

দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনের মধ্যেও ব্যাংক খোলা রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন ব্যাংকার আক্রান্তও হয়েছেন। তবে মৃত্যুর ঘটনা এটাই প্রথম।

ওই কর্মকর্তার মরদেহ স্বজনদের কাছে দেওয়া হয়নি। তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

সিটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তা বলেন, লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি অনুযায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাজধানীর তালতলা কবরস্থানে দাফন করে।

অসুস্থতা বাড়লে শনিবার সকালে আবারও মুগদা হাসপাতালে যান ওই ব্যাংক কর্মকর্তা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি করে নেন। নমুনা আবার পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ আসে।

ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, “তিনি কোভিড-১৯ রোগী ছিলেন। আজ সকাল ১০টায় তার মৃত্যু ঘটে।”

সিটি ব্যাংকের ওই কর্মকর্তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরই মোবাইল ফোনে তার পরিবারকে কল করে তার সঙ্গে দেখা না করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। মৃত্যুর পর তার পরিবারের সদস্যদের বলা হয়েছে বাড়িতে থাকতে।

ওই কর্মকর্তার মৃত্যুতে সিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ এবং পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানানো হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button